রাঙ্গুনিয়ায় হামলায় আহত আওয়ামীলীগ নেতা আর নেই

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ‘নারীসহ’ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে অবরুদ্ধ করার প্রতিবাদে রাঙ্গুনিয়ার কোদালায় তাৎক্ষণিক বের করা মিছিল থেকে হামলায় গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিবুল্লাহ (৫৪) মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মো.মুহিবুল্লাহ রাঙ্গুনিয়ার কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (৩ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাঙ্গুনিয়ার কোদালায় বিক্ষোভ মিছিল করেন তার সমর্থকরা।

মিছিলটি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে পূর্ব কোদালা ৬ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। পরে ৫ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের সামনে মিছিলে যোগদানকারীরা লাঠিসোটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন যুবলীগ নেতা আবদুল জব্বার, দিলদার আজম লিটন ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিব্বুল্লাহকে। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত মুহিবুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত মঙলবার সন্ধ্যা থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুহিব্বুল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন বলে শুনেছি। মারধর, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনসহ মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মারধরের ঘটনার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

মো. মুহিবুল্লাহ’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।