রোহিঙ্গা ইস্যু: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লা-জবাব কেন?

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে রোহিঙ্গাবিরোধী নিধনযজ্ঞ নতুন করে শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে স্রোতের মতো রোহিঙ্গা প্রবেশ করছে। যেহেতু মিয়ানমার সরকারপুষ্ট সেনাবাহিনী হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এবং নির্বিচার অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে, সেহেতু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্রোতও অব্যাহত আছে। আগস্টের ২৫ তারিখের পর থেকে আজ পর্যন্ত (০৬/০৯/২০১৭) প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ-মিয়ানমারের প্রায় ৩৩টিরও অধিক সীমান্ত-পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রায় ৫৭ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু (প্রাপ্ত লাশের সংখ্যা অনুসারে) হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। একটা স্যাটেলাইট ইমেইজে দেখা গেছে একই গ্রামেই প্রায় ৬০০ বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আকিয়াব, বুচিডং এবং মংডুতে আরো হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাড়ি জমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের অব্যাহত প্রবেশের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য কি কি ধরনের সমস্যা হতে পারে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও লেখালেখি হচ্ছে। আবার এ সমস্যা থেকে দ্রুত উত্তরণের জন্য নানান বিশেষজ্ঞ নানান পথ্যও বাতলে দিচ্ছেন। রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সমাধানের পথ হিসেবে প্রায় সবাই বলার চেষ্টা করছেন যে, মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাড়াতে হবে। যথাযথ কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলে যদি কিছু থাকে তাহলে যে এরকম নির্বিচার গণহত্যা হচ্ছে, অকাতরে সিভিলিয়ান রোহিঙ্গা জনগণকে হত্যা করা হচ্ছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এতে কোন মাথাব্যথা নেই কেন? আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লা-জবাব কেন? এখানে সংক্ষেপে তার কয়েকটা সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করব।

অনেকে বলার চেষ্টা করছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশের উচিত ভারত এবং চীনকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। দুই বৃহৎ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত এবং চীনের সাহায্য ও ভূমিকা বেশ কার্যকর হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ভারত এবং চীন উভয়ই মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। উভয়েরই নজর মিয়ানমারের তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদের দিকে। অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক স্বার্থের পাশাপাশি ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত কারণেই ভারত এবং চীন উভয়ের কাছেই মিয়ানমার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, কেন তারা বাংলাদেশের সঙ্গে গিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে? কূটনীতি আবেগ দিয়ে চলে না; কূটনীতি চলে অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশ এবং ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ দিয়ে। অনেকে বলার চেষ্টা করছেন, চীনকে কোনোভাবে বোঝাতে সক্ষম হলে এবং চীনকে দিয়ে মিয়ানমারকে বাংলাদেশের পক্ষে চাপ প্রয়োগ করাতে পারলে, রোহিঙ্গা সমস্যার একটা আশু সমাধান হবে। কথাটা সত্য যে, মিয়ানমার চীনের কথা সাধারণত ফেলবে না। কিন্তু চীন কেন বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করবে? মিয়ানমারের আরো দু’টি জাতিগোষ্ঠী কাচিন এবং কারেনদের নিয়ে যে সংকট, তা মোকাবেলায় মধ্যস্থতা করছে চীন। কেননা কাচিন ও কারেনদের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করলে মিয়ানমার-চীন সীমান্তে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং চীন কাচিন ও কারেন সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতা করছে এবং নিজের সীমান্ত ঠাণ্ডা ও শান্ত রাখার বন্দোবস্ত করছে। কোন দুঃখে চীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের সংকট মোচনে নাক গলাবে, সেটা কোনো কূটনৈতিক গ্রামারেই পড়ে না।

অনেকে আসিয়ানের নীরবতায় অবাক হয়েছেন। কিন্তু যাদের ন্যূনতম কূটনৈতিক জ্ঞান আছে, তাদের অবাক হওয়া কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। কোনো ধরনের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ছাড়াই বলা যায়, আসিয়ানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই যদি আসিয়ানের মূল লক্ষ্য হয়, তাহলে আশিয়ান কেন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গিয়ে রোহিঙ্গা হত্যা-নির্যাতন বন্ধে ভূমিকা রাখবে? যখন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পলিসি হচ্ছে রাখাইন রাজ্যকে রোহিঙ্গামুক্ত করা। তারচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, রোহিঙ্গারা আকিয়াব-মংডু-বুড়িডং প্রভৃতি এলাকা ছেড়ে চলে গেলে সেখানে একটি অর্থনৈতিক জোন হবে আর এ অর্থনৈতিক জোনের মূল বিনিয়োগকারী হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহ। বিশেষ করে ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়া ইতোমধ্যে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করে বসে আছে এবং আরো বড় অংকের বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে অপেক্ষা করছে। তাহলে, কোন দুঃখে এবং কিসের স্বার্থে আসিয়ান রোহিঙ্গা ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে মিয়ানমারের বিপক্ষে অবস্থান নেবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এরা মনে করে, এদের উদ্বেগ আমাদের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি করে। কিন্তু এরা এটা বোঝার চেষ্টা করে না যে, ইউরোপিয়ান উদ্বেগের তিন পয়সার মূল্য নাই মিয়ানমারের কাছে। তাছাড়া ইউরোপের নানান দেশ নিজেদের শরণার্থী সমস্যা নিয়ে নিজেরাই উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ভূমিকার কারণে অন্যদেশের শরণার্থী বিষয়ে সবক দেয়ার অধিকারকে তারা খর্ব করেছে। তারচেয়ে বড় কথা হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমার সরকারকে কোনো ধরনের কার্যকর চাপ দেয়ার ফলপ্রসূ কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না-করে, উল্টো বাংলাদেশকে বর্ডার খুলে দেয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করছে। ক্ষেত্র বিশেষে মিয়ানমারকে চাপ না-দিয়ে দৃশ্যত বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ, আহ্বান, অনুরোধ আর কাগজ চালাচালি মধ্যেই তাদের মুরুদকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছে। সে কারণেই প্রায় প্রতিবছর হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারকে কোনো কার্যকর চাপ প্রয়োগ করতে পারেনি।
আমি অন্যত্র লিখেছি, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওআইসি’র কেন কোন ভূমিকা নাই, সেটা একটি রহস্যজনক ব্যাপার হলেও আন্তর্জাতিক রাজনীতির যারা ন্যূনতম খোঁজখবর রাখেন তারা জানেন যে, ওআইসি একটা নখদন্তহীন নেকড়ে ছাড়া আর কিছুই না। তারা কথা বললে কানাগলির নেড়ি কুত্তার ঘেউ ঘেউ ছাড়া তা যে আর কিছুই নয়, সেটা সবারই জানা।’ সম্প্রতি ওআইসির মহাসচিব বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন। তার ভ্রমণের অংশ হিসেবে তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সরেজমিনে গিয়ে দেখেছেন। তখনও পর্যন্ত এ হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়নি। তখন তিনি রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিকত্ব দিয়ে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু ২৫ আগস্টে নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর ওআইসির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি একটি সামান্য বিবৃতি পর্যন্ত প্রদান করেনি। এরা কেবল ‘ভাবে’ থাকে, হাবভাবে মনে হয় মস্তবড় হস্তি কিন্তু কাজেকর্মে আদতে অকর্মা গৃহস্তি!

পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক পাগলের পাল্লায় পড়ে যার নিজেরই যায় যায় অবস্থা। ট্রাম্পের বর্তমান প্রশাসন এমনিতে খানিকটা ইসলাম এবং মুসলিমবিদ্বেষী। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পেছনে যেসব ফর্মুলা টনিকের মতো কাজ করেছে তার মধ্যে অন্যতম ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষ। মিয়ানমার সরকার এবং রাষ্ট্রযন্ত্র যখন অবিরত এবং অব্যাহতভাবে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’ এবং ‘মুসলিম সন্ত্রাসী’ হিসেবে উপস্থাপন করছে, তখন এটা নির্ঘাত বোকামি হবে যদি আমরা আশা করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনের বিপক্ষে অবস্থান নেবে। এটা প্রথমত তার রাষ্ট্রীয় পলিসির বিরোধী আর দ্বিতীয় তার খেয়ে দেয়ে করার অনেক কাজ আছে। এসব ‘বাজে কাজে’ সময় নষ্ট করার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

এসব সিরিজ লা-জবাবের বাইরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিধনের বিরুদ্ধে কিছু আওয়াজ আমরা শুনতে পেয়েছি যদিও সেটা বেশ কমজোর। বিশেষ করে ব্রিটেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের অবস্থান নিয়ে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং গত ৩ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুচির প্রতি মিয়ানমারের চলমান এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তাছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আর রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্ক, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং মালদ্বীপ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইউসুফ মালালা এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসও রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিজের উদ্বেগের কথা ব্যক্ত করে জাতিসংঘকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন। মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংঘি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নিজের ‘কনসার্ন’ জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গোতেরেসও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে সংযত আচরণ করতে ‘আহ্বান’ জানিয়েছেন। কিন্তু মিয়ানমার এসব ‘কনসার্ন’ এবং ‘আহ্বান’কে থোড়াই কেয়ার করেন! তাছাড়া, জাতিসংঘ ২০১৬ সালের ঘটনার পর জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে যার চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ২৪ আগস্ট যেখানে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের সমস্যার সমাধান করে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু বিধি বাম। চোরে না শোনে ধর্মের বাণী। রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়া দুই দিনের মাথায় নতুন হত্যাযজ্ঞ শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত (০৫/০৯/২০১৭) প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে উল্টো পুশ করে দিয়েছে কিন্তু জাতিসংঘ কিছুই করতে পারেনি। এদিকে মিয়ানমার তার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস জারি রেখে রোহিঙ্গাশূন্য করার প্রকল্প কামিয়াব করছে। তাই, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আলোচনা হবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত পর্বতের মূসিক প্রসব হবে! সুতরাং ‘জোর কূটনীতিক তৎপরতা চালাতে হবে’-বলে আমাদের বিশেষজ্ঞরা আমাদের যা গিলাচ্ছেন, আপাতত তার বাইরে যাওয়ার খুব একটা সুযোগ আমাদের নাই। কারণ মিয়ানমারের সঙ্গে সবাই আছে আমাদের সঙ্গে কেউ নাই। তাই, কূটনৈতিক দক্ষতা দিয়েই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান সম্ভব। কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব তার ফর্মুলা বের করতে হবে পেশাদার কূটনীতিকদেরই, তথাকথিত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের নয়। এখন দেখার বিষয় আমাদের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কূটনৈতিক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার মুরুদ কতটুকু। সময়ের প্রয়োজনে যদি কাজেই না-লাগে, তাহলে সে জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার মূল্য কী?

লেখক: ড. রাহমান নাসির উদ্দিন, নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, ০৭ সেপ্টেম্বর   ২০১৭