আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজ

সাংবাদিককে মারধর ও নাজেহাল করে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন চট্টগ্রাম-১৬ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।

আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এ মামলার শুনানি হয়েছে। এর আগে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ওই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা পিপি ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। নির্ধারিত বন্ডে আইনজীবী ও স্থানীয় একজনের জিম্মায় তাকে জামিন দেন আদালত।

জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লা। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং সাংবাদিকদের মারধর, নাজেহালের অপরাধে নির্বাচনী আচরণবিধি আইনের ৮ (খ) ধারায় মামলাটি করা হয়।

মামলায় মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামি মোস্তাফিজুর রহমান রহমান চৌধুরীকে ৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, গত ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় আচরণবিধি ভঙ্গ করে বেশি সংখ্যক মানুষ নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন।

এ বিষয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করলে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ তার সাথে থাকা ২০-৩০ জন আসামি গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর মারমুখী আচরণ করেন এবং টিভি ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ব্যুরো প্রধান অনুপম শীল রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

এ নিয়ে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দেন। ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশনা দেন। এ অনুযায়ী বাঁশখালী নির্বাচন কর্মকর্তা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ তার আরও ২০/৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে আসামি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে আগামী ৩ জানুয়ারি আদালতে হাজিরের আদেশ দেন।