করোনা ঝুঁকি বাড়ছে রাজধানীতে

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশেও প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি আঘাত এনেছে। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে প্রতিদিনই রাজধানীর ঢাকায় নতুন নতুন এলাকায় করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১০১ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৪৯২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৪৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৮৫ জন।

সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানী মহাখালীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে \’করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত \’অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

এদিকে গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ৪৪ দিনে এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছেন রাজধানীবাসী। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা সংক্রমিত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে নতুন করে কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, এলিফ্যান্ট রোড, মানিকনগর, মানিকদি, নয়াবাজার, রাজাবাজার, রায়েরবাজার, শাজাহানপুর ও তাঁতীবাজার এলাকায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

গত ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীর যেসব এলাকায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে সেগুলো হলো: আদাবরে পাঁচজন, আগারগাঁওয়ে পাঁচজন, আরমানিটোলায় একজন, আশকোনায় একজন, আজিমপুরে ১৪ জন, বাবুবাজারে ১১ জন, বাড্ডায় ৯ জন, বেইলি রোডে তিনজন, বনানীতে আটজন, বাংলামোটরে একজন, বংশালে ২৭ জন, বানিয়ানগরে একজন, বাসাবোতে ১৮ জন, বেগুনবাড়িতে একজন, বেগমবাজারে এক, বেড়িবাঁধে এক, বকশিবাজারে একজন, বসিলায় একজন, বুয়েট এলাকায় একজন, ক্যান্টনমেন্টে দুইজন, সেন্ট্রাল রোডে একজন, চানখারপুলে আটজন, চকবাজারে ১৫ জন, ঢাকেশ্বরীতে একজন, ডেমরায় পাঁচজন, ধানমন্ডিতে ২১ জন, ধোলাইখালে দুইজন, দয়াগঞ্জে দুইজন, এ্যালিফ্যান্ট রোডে একজন, ইস্কাটনে আটজন, ফরিদাবাদে একজন, ফার্মগেটে একজন, গেন্ডারিয়ায় ১৯ জন, গোলারটেটে একজন, গোড়ানে দুইজন, গোপীবাগে ছয়জন, গ্রিনরোডে দশজন, গুলিস্তানে চারজন, গুলশানে ১৪ জন, হাতিরঝিলে একজন, হাতিরপুলে তিনজন, হাজারীবাগে ১৭ জন, ইসলামপুর দুইজন, জেলগেটে দুইজন, যাত্রাবাড়ীতে ৩০ জন, জিগাতলায় পাঁচজন, জুরাইনে চারজন, কল্যাণপুরে দুইজন, কলাবাগানে চারজন, কাঁঠালবাগানে একজন, কামরাঙ্গীরচরে চারজন, কাজীপাড়ায় তিনজন, কারওয়ানবাজার দুইজন, কচুক্ষেতে একজন, খিলগাঁওয়ে দুইজন, খিলক্ষেতে একজন, কলতাবাজারে একজন, কদমতলীতে দুইজন, কোতোয়ালি চারজন, কুড়িলে একজন, লালবাগে ৩১ জন, লক্ষ্মীবাজারে পাঁচজন, মালিটোলায় একজন, মালিবাগে চারজন, মানিকনগরে দুইজন, মানিকদি একজন, মাতুয়াইলে তিনজন, মিরহাজীবাগে দুইজন, মিরপুর ১ নম্বরে ১১ জন, মিরপুর ৬ নম্বরে তিনজন, মিরপুর ১০ নম্বরে সাতজন, মিরপুর ১১ নম্বরে ১৩ জন, মিরপুর ১২ নম্বরে ১১ জন, মিরপুর ১৩ নম্বরে দুইজন, মিরপুর ১৪ নম্বরে আটজন, মিটফোর্ডে ২৮ জন, মগবাজারে ১২ জন, মহাখালীতে ১৪ জন, মোহনপুরে একজন, মোহাম্মদপুরে ৩৬ জন, মতিঝিলে একজন, মুগদায় চারজন, নওয়াবপুরে একজন, নবাবগঞ্জে দুইজন, নারিন্দায় পাঁচজন, নাখালপাড়ায় ছয়জন, নয়াবাজারে সাতজন, নিমতলীয় চারজন, নিকুঞ্জে একজন, পীরেরবাগে দুইজন, পুরানা পল্টনে দুইজন, রাজারবাগে ১৩ জন, রামপুরায় চারজন, রমনায় পাঁচজন, রায়েরবাগে একজন, রাজাবাজারে একজন, রায়েরবাজারে একজন, সবুজবাগে তিনজন, সদরঘাটে দুইজন, শাজাহানপুরে তিনজন, সায়দাবাদে একজন, সাইন্স ল্যাবরেটরি একজন, শাহআলীবাগে দুইজন, শাহবাগে দশজন, শাঁখারিবাজারে ১৩ জন, শান্তিবাগে একজন, শ্যামপুরে একজন, শান্তিনগরে দশজন, শ্যামলীতে সাতজন, শেওড়াপাড়ায় চারজন, শেখেরটেকে একজন, সোয়ারিঘাটে তিনজন, সিদ্ধেশ্বরীতে চারজন, শনির আখড়ায় দুইজন, সূত্রাপুরে ১২ জন, তাঁতীবাজারে একজন, তেজগাঁওয়ে ১৯ জন, তেজতুরী বাজারে একজন, টোলারবাগে ১৯ জন, উর্দু রোডে একজন, উত্তরায় ২৩ জন, ভাটারায় একজন এবং ওয়ারিতে ২৯ জন আক্রান্ত রয়েছেন।