রাজধানীতে বিধিনিষেধ শিথিলের আগেই চলাচল স্বাভাবিক

বিধিনিষেধ শিথিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই একেবারে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে রাজধানীর সড়ক। আজ সকাল থেকেই গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের পরিবহনে বদলে গেছে রাজধানীর সড়কের চিত্র। যানবাহনের চাপ এতটাই যে প্রধান প্রধান সড়কে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি যাত্রী নিয়ে ভ্যানও চলতে দেখা গেছে। যানবাহনের চাপের কারণে সব সড়কেই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

রাজধানীর বিজয় সরণির উভয় সিগন্যাল, এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ, বাংলামোটর, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কেও দুপুরের দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বনানী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কের সব সিগন্যালে লোকজনকে যানজটে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেক সময় পর্যন্ত।

চলমান কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল হবে- এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নগরবাসী আজ একযোগে রাস্তায় নেমে এসেছে। ফলে যানবাহনের পাশাপাশি সড়কে মানুষের উপস্থিতিও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। সবাই নিজ নিজ জরুরি কাজের জন্য বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটেছেন।

মানুষের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ি একেবারেই ভেঙে পড়েছে। পুলিশের তৎপরতা আজ আসছে না কোনো কাজে। মানিক মিয়া এভিনিউতে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও সেখানে পুলিশের কোনো তৎপরতা ছিল না বললেই চলে। একটি গাড়ি থামাতে গেলে পেছনে অনেক গার্মেন্টস কর্মীদের লাইন পড়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে পুলিশ যানবাহন এবং যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এবং আবাহনী মাঠ সংলগ্ন স্টার কাবাবের সামনের সড়কে চেকপোস্ট থাকলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত এখানে পুলিশের কোনো তৎপরতা ছিল না। মোটকথা সড়কে মানুষ এবং যানবাহনের চাপে পুলিশের তৎপরতা অনেকটাই থেমে গেছে। বিগত দিনগুলোতে রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেলেও আজ তা অনুপস্থিত রয়েছে। অনেক সড়কে চেকপোস্ট থাকলেও সেখানে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিলের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সকাল থেকেই রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মগবাজার, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেটসহ প্রায় সব এলাকার বিভিন্ন সড়কের উপরে সবজি ও মাছের বাজার বসে গেছে। নগরীর নিয়মিত বাজারগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

এদিকে লকডাউন শিথিলের খবর শুনে নিম্নআয়ের মানুষ কাজের সন্ধানে আজ রাস্তায় বের হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মালিবাগ ও খিলগাঁও রেলগেট, কাওরানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনমজুরসহ নিম্নআয়ের লোকজনকে কাজের সন্ধানে বসে থাকতে দেখা গেছে।