ডিমের হালিতে ১৫ টাকা, ব্রয়লার মুরগীতে কমেছে ৩০ টাকা

অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পর ৫ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম গাজীপুরে খুচরা বাজারে কমেছে হালিতে ১৫ টাকা। প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে দাম কমেছে বলে বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা ব্রয়লার মুরগির দামও কমেছে। কিন্তু খাদ্যের দাম না কমিয়ে এভাবে ডিম ও ব্রয়লার মুরগীর দাম কমানোর ফলে খামারিরা হতাশ জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ ও পোল্ট্রি প্রফেশনালস বাংলাদেশ- এর যৌথ নির্দেশনায় গাজীপুরে পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগী) মূল্য তালিকা সূত্রে জানা যায়, খামারে বিক্রি প্রতিটি লাল ডিম ৮.৬৫ টাকা ও সাদা ডিম ৮.৪০ টাকা। সেখানে ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১৩২ টাকা, কালবার্ড লাল ২৪৫ টাকা, সোনালী ২৪০ টাকা। বাচ্চার বাজার দর লেয়ার লাল ২৮-৩০ টাকা, লেয়ার সাদা ৩৫-৪০ টাকা ও ব্রয়লার ২৪-২৫ টাকা।

গতকাল শনিবার গাজীপুরের সদর, কালিয়াকৈর, কালিগঞ্জ ও শ্রীপুর উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে ৪০ টাকা হালি ডিম ও ১৭০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রির দৃশ্য দেখা যায়।

যেখানে ৫দিন আগে এসব বাজারে ডিমের হালি ৫৫-৬০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায়। যা দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো এত বেশি দামে ডিম ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়নি।

ডিম ও ব্রয়লার মুরগীর দাম কমায় খুশি সাধারণ মানুষ। তারা জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে।

৩০০ টাকায় এক খাঁচি (৩০ পিস ডিম) ডিম কিনে খুশি কালিগঞ্জ উপজেলার সদর এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল কুমার। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে এক খাঁচি ডিম কিনতে হয়েছে ৪২০ টাকায়।

প্রতিটি ডিম ১০ টাকায় বিক্রি করছিলেন কাপাসিয়ার সিংহস্রী বাজারের মুদী দোকানী ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে প্রতিটি ডিম ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে হতো। পাইকারি বাজারে এখন দাম কমেছে বিধায় আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি।

গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এসএম উকিল উদ্দিন যুগান্তরকে জানান, বৈশ্বিক সমস্যায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে। যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে ভুট্টা আমদানি কমে দাম প্রায় দ্বিগুণ হওয়া ও সয়াবিনের (সয়াবিনের খইল) দাম বেড়ে গেছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি শিল্পে।