দামুড়হুদায় যেকোনো দোকানেই পাওয়া জায় পেট্রোল!

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন দোকানে অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছে পেট্রোল। সরকারি সকল নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অন্য পণ্যের পাশাপাশি পেট্রোল বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কের পাশে দোকানের ভেতরে কনটেইনারে পুরে রাখা হয় পেট্রোল। দোকানের সামনে রেখেই দেদারসে বিক্রি হচ্ছে।

জ্বালানি তেল বিক্রির লাইসেন্স পেতে কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধাপাকা ঘর ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকতে হবে। মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এসবের কোনো তোয়াক্কা না করে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মুদিখানা, সার, হার্ডওয়্যার, বস্তাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের সাথে পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে। এতে বিক্রেতাদের যেমন লিটারপ্রতি সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে, তেমনই ওজনে কম দিতে বোতলে আগুনের তাপ দিয়ে নানা আকার দেয়া হচ্ছে। এতে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

অনেক সময় প্রশাসন কড়াকড়ি আরোপ করলে অনেক ব্যবসায়ী কৌশলে তাদের মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্কি ভরে তেল এনে দোকানে এনে ওই তেল বের করে বোতলে ভরে বিক্রি করছেন। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে কয়েক শ দোকানে এভাবে বিক্রি হচ্ছে এই দাহ্য পদার্থ। দোকানে দুই লিটার, এক লিটার অথবা আধা লিটার ওজনের প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রোল ভরে দোকানের সামনে টেবিল অথবা ব্যারেলের ওপর সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই বোতলভর্তি পেট্রল কিনতে পারেন।

দামুড়হুদা উপজেলা সদরের এক জ্বালানী তেল বিক্রেতা বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী। সারা দিনে অল্প কয়েক লিটার তেল বিক্রি করি। অনেক সময় মোটরসাইকেল চালকরা তেল খোঁজেন। তাই তেলের চাহিদা থাকায় বিভিন্ন পাম্প থেকে তেল নিয়ে এসে বিক্রি করি।

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহিউদ্দীন বলেন, যত্রতত্র পেট্রোল বিক্রি করা যাবে না। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। খুব দ্রুত অভিযান চালিয়ে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Scroll to Top