শেরপুরে এক জোড়া জুতা ধরিয়ে দিল খুনি!

‎ময়মনসিংহ বিভাগঃ শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শৈলার বিল থেকে উদ্ধার করা লাশের একটি ক্লুলেস হত্যা মামলায় এক জোড়া জুতার সূত্র ধরে খুনিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। শেরপুর সদরের নৌহাটা এলাকার রিকশাচালক আনসার আলীকে হত্যার কথা স্বীকার করে গত বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় গ্রেপ্তারকৃতরা।

গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি হলো শ্রীবরদীর পূর্ব ঘোনাপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া (২৫), শৈলারকান্দা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে সাগর মিয়া (১৮) ও চৈতাজানি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাইম মিয়া (১৮)।

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, শ্রীবরদী থানা পুলিশ গত ২৯ জুলাই গড়জরিপা ইউনিয়নের শৈলারকান্দা গ্রামের শৈলার বিল থেকে সদর উপজেলার উত্তর নৌহাটা (তাতালপুর) এলাকার রিকশাচালক আনসার আলীর মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলের পাশে রাস্তার কিনারা থেকে নিহতের পায়ের জুতাসহ আরেক জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়। নিহতের লাশ শনাক্তের পর তাঁর স্ত্রী জরিনা বেগম অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর শ্রীবরদী থানার পুলিশ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, আসামিদের শনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারে তদন্তে নামে।

প্রাথমিকভাবে উদ্ধার করা জুতা ছাড়া আর কোনো ‘ক্লু’ ছিল না। ফলে সেই জুতার সূত্র ধরেই ঘটনাস্থলের আশপাশের গ্রামগুলোতে জুতা ব্যবহারকারীর পরিচয় খোঁজার জন্য চেষ্টা চলতে থাকে। পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টাও অব্যাহত থাকে। প্রায় এক সপ্তাহ পর পুলিশ জুতা ব্যবহারকারীর পরিচয় শনাক্তের জন্য একটি ‘ক্লু’ খুঁজে পায়।

একই রকম ডিজাইনের নতুন এক জোড়া জুতা পরিহিত একজনের সন্ধান মেলে। সাগর নামের ওই যুবকের সঙ্গে কৌশলে কথা বলে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়। পরে অভিযান পরিচালনা করে গত ১৭ আগস্ট সাগরকে আটক করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিল্লাল মিয়া ও সাইম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।