কুড়িগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে ৫ শিশু-কিশোরের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার নোয়াপাড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শামছুন্নাহার (১০) ও মিথিলা (৭) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শামছুন্নাহার পশ্চিম মেড্ডা এলাকার সাইদুল ইসলামের মেয়ে ও মিথিলা নুরুল ইসলামের মেয়ে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাড়ির সামনের একটি পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায় মিথিলা। পরে তাকে বাঁচাতে পানিতে নেমে শামছুন্নাহারও ডুবে যায়। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ১ নম্বর ফাঁড়ির পরিদর্শক আবুল হাসান খান পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে, কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সোনাভরি নদীতে ডুবে ৩ ভাইবোনের করুণ মৃত্যু ঘটেছে। তাদের সঙ্গে গোসলে নামা আরো দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহষ্পতিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কলেজপাড়া গ্রামের ঘটনা এটি।

নিহতরা হলো পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী দীনা খাতুন (১২), অষ্টম শ্রেণির সিয়াম মিয়া (১৩) ও নবম শ্রেণির হামিম উদ্দিন (১৫)। সম্পর্কে তারা খালাতো ভাই-বোন। আহত হয় জোবায়ের ও তাকিয়া নামের আরো দুজন। কলেজপাড়ায় তাদের আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

নিহত তিন ভাই-বোনের স্বজন হেলাল উদ্দিন জানান, কয়েকদিন আগে অধ্যাপক হায়দার আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওই দিন দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে স্লুইস গেটসংলগ্ন সোনাভরি নদীতে গোসল করতে যায় তারা। প্রথমে সাঁতার কাটতে না জানা দীনা খাতুন পানিতে ডুবতে থাকলে তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যায় দুই ভাই। শেষে তিনজনই পানিতে ডুবে যায়।

খবর পেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুল আলম তিনজনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

রৌমারী থানার ওসি হাসান ইনাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে যাই।