করোনাভাইরাসের দেশের প্রবৃদ্ধি নামতে পারে ৩ শতাংশে

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে এশীয় অঞ্চলে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) দেশে প্রবৃদ্ধি ২ থেকে ৩ শতাংশ কমার আশংকা করছে বিশ্বব্যাংক। এর পরের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরো কমতে পারে এমন পূর্বাভাসও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

রোববার (১২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়।

এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হার্টউয়িগ স্ক্যাফার বলেন, এ অবস্থায় দক্ষিণএশিয়ার সকল সরকারকে এই ভাইরাস থেকে জনগণকে রক্ষার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। বিশেষত যারা গরীব এবং চিকিৎসা করানোর সামর্থ নেই।

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভূটানের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগতে পারে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং মালদ্বীপ ।

এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে দক্ষিণ এশিয়ার সরকারদের প্রবাসীদের জন্য বেশি প্রণোদনা এবং অর্থ বরাদ্দ দেয়ার আহ্বান জানায় বিশ্বব্যাংক। এছাড়া দেশগুলোর অন্যান্য খাতেও বেশি করে সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেয়ার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও লকডাউন জারি করা হয়েছে। এতে থমকে গেছে দেশগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। পাশপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিদেশে থাকা বহু শ্রমিক ফিরে এসেছেন। বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের প্রবৃদ্ধি ১.৮ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশে নামতে পারে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিও ৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা ভারতের প্রবৃদ্ধি এবার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ হতে পারে। তার পরের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধিতে ধস নামতে পারে। ২০২১ সালের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে ১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। ২০২২ সালের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ হতে পারে ভারতে।

পুরো দক্ষিণ এশিয়াতে এ পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৮০ হাজার ১৪ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮২৭ জন। রয়টার্স।