২০০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ এখন ২০ টাকা কেজি!

গত দুই সপ্তাহ আগেও বগুড়ায় পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ কেজিতে বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সেই কাঁচা মরিচ কেজিতে নেমে এসেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। বগুড়ার ফতেহ আলীবাজার, রাজাবাজার ও বৌবাজারের ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন বাজারে মরিচের দামে ধস নেমেছে। আজ বুধবার বিভিন্ন হাটবাজারে খুচরা ২০-৩০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। আর পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২-১৫ টাকা।

এদিকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম হাট থেকে মরিচ বিক্রি করতে আসা মরিচ চাষি শালগ্রামের আনারুল ইসলাম জানান, প্রকার ভেদে কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন। তবে ভালো জাতের কিছু মরিচ ৩০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ পাইকারী ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন জানায়, হাট বাজারে আমদানি বেশি হওয়ায় চাহিদা কমেছে। কাঁচা মরিচ পঁচনশীল। তাই মরিচের দরপতন হয়েছে।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ কিছুটা বেশি। নিত্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

উপজেলার সান্তাহার এলাকার মরিচ চাষি বেলাল হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষের জন্য প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। হঠাৎ পাইকারি বাজারে ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না।

জানা যায় গত কয়েক দিন আগেও খুচরা বাজারে যে কাচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজিতে বুধবার সকালে সেই মরিচ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে।

জেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন বগুড়ার বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কাঁচামরিচের দাম কমেছে। দুই সপ্তাহ আগে বগুড়ার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি ছিলো। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। দুই সপ্তহের ব্যবধানে এখন বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে সেই কাচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজিতে।

বগুড়ার ফতেহ আলীবাজারের ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক জানান, গত তিন দিনে কাঁচা মরিচের দাম অনেক কমেছে। এখন পাইকারী ১৫ থেকে ২০ টাকাতেই এক কেজি মরিচ মিলছে।

জাহিদুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী জানান, দাম আরও কমবে। ভারত থেকে মরিচে আমদানি বেড়েছে। তবে আমদানি বন্ধ হলে আবার দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।