বঙ্গবাজারের চাপ পড়েনি নিউমার্কেটসহ দেশের অন্যান্য শপিংমলে

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর কাপড়ের পাইকারি মার্কেট অনেকেই ধারণা করেছিলেন এর বিরূপ প্রভাব পড়বে নিউমার্কেটসহ দেশের অন্যান্য বড় শপিংমলে। কিন্তু সরেজমিন নিউমার্কেটসহ অন্যান্য শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, এসব মার্কেটে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব তেমন একটা পড়েনি।

বুধবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পুরোদমে চলছে ঈদের কেনাকাটা। তবে এবার আশানুরূপ তেমন বেচাবিক্রি না হলেও, ঈদ কেনাকাটায় বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা।

জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ক্রেতা সমাগমে মুখর শপিংমল, ফ্যাশন হাউস ও মার্কেটগুলো। রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায়ও তাই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তবে চাপ নেই পোশাক সংকটের।

বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব সম্পর্কে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, রোজার আগেই ঈদ উপলক্ষে দোকানগুলো পর্যাপ্ত পোশক মজুত রেখেছে। তাই ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই। এতে ঈদের আগমুহূর্তে বঙ্গবাজারে কাপড়ের মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রভাব পড়েনি এসব মার্কেটে।

মো. ফয়সাল নামে এক বিক্রেতা জানান, ঈদের আগে দোকানে প্রচুর পোশাক আনা হয়েছে। এবার নতুন ডিজাইনের অনেক পোশাক এসেছে। বঙ্গবাজারের ক্রেতারা এখানে এলেও বাড়তি চাপ পড়বে না। পর্যাপ্ত মজুত আছে।

আলিফ হোসেন নামে আরেক বিক্রেতা জানান, বঙ্গবাজারের চাপ একদমই পড়েনি। সেই চাপ পড়লে দম ফেলার সুযোগ পাওয়া যেত না। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা আসলে রোজার আগেই পণ্য মজুত করা শুরু করেন। স্টকে প্রচুর পোশাক রয়েছে। এতে ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই।

বঙ্গবাজারের ক্রেতারা নিউমার্কেটে আসার সম্ভাবনা কম জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা চৌকি পেতে ব্যবসা শুরু করেছেন। তাদের ব্যবসা জমে উঠলে ক্রেতারা এখনও সেই দিকেই ছুটবেন।

মো. আলমগীর নামে এক পাঞ্জাবি বিক্রেতা বলেন, বঙ্গবাজারের চাপ এখন পর্যন্ত নিউমার্কেটে দেখা যায়নি। ২০ রোজায় প্রচুর চাপ থাকলেও এবার তেমন চাপ নেই।

এদিকে নিউমার্কেটে অগ্নিঝুঁকির বিষয়ে আলমগীর বলেন, হাতে গোনা কয়েকটি নতুন মার্কেট ছাড়া প্রতিটি মার্কেটই প্ল্যান ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে। নিউমার্কেটে প্রচুর ভিড় হয়। আগুন লাগলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

তবে ফায়ার সার্ভিস বা সরকারের কোনো বাহিনীর পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং হয় না বলেও অভিযোগ করেন আলমগীরসহ অন্য ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটলে তখনই কেবল অভিযান পরিচালনা করা হয়। সরকারকে এ ব্যাপারে আরও কঠোর হতে হবে।’