বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবে খুশি তরুণ উদ্যোক্তারা

জাতীয় বাজেটে উদ্যোক্তা তৈরিতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে উদ্যোক্তা বাড়াতে আরও ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। এ সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলছেন উদ্যোক্তারা। বেকারত্বের হার কমাতে এসব কর্মসূচি ভূমিকা রাখবে বলে আশা বিশ্লেষকদের।

২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান। যার মূল ছিল চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা। সেই সমতার বাংলাদেশে আত্ম-কর্মসংস্থান ও চাকরির সুযোগ বাড়াতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হ।

একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে উদ্যোক্তা বাড়াতে করা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের পরিকল্পনা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনকালে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন বলেন, তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি লক্ষ্যে বাজেটে ১০০ কোটির টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলছেন উদ্যোক্তারা। তবে অর্থের সঠিক ব্যবহার ও ঋণ বিতরণে জটিলতা দূর করার দাবি তাদের। উদ্যোক্তারা বলছেন, এমন অনেকেই আছেন যারা ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, তবে অর্থের অভাবে পারছেন না। বাজেটে বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ এসব তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য খুবই সহায়ক হবে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, যে তহবিল গঠন করা হবে, তার অর্থ যেন সঠিকভাবে উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

এসএমই উদ্যোক্তাদের শক্তিশালী করে দেশের অর্থনীতিকে গাঁথার এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বলছেন, এই উদ্যোগের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে বেকারত্বের হার কমবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, এসএমই খাতের জন্য বিশেষ ফান্ড অবশ্যই দরকার। কারণ তরুণ উদ্যোক্তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারলে দেশের রাজস্ব আয়ও বাড়ানো সম্ভব।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে বেকার রয়েছে ২৬ লাখের বেশি কর্মোপযোগী মানুষ। যা ২০২৩ সালে ছিল ২৪ লাখ ৬০ হাজার।

Scroll to Top