college

জিপিএ-৫ পেয়েও জুটবে না কাঙ্ক্ষিত কলেজ

এবার একাদশ শ্রেণিতে সব শিক্ষার্থী ভর্তির পরও ৮ লাখ আসন খালি থাকবে। তবে কাঙ্ক্ষিত কলেজ পাবে না জিপিএ-৫ পাওয়া অনেকেই। তাই এসএসসির প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনা করে কলেজের পছন্দক্রম পূরণের পরামর্শ দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। আর সবাইকে গতানুগতিক শিক্ষা গ্রহণ না করে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

চলতি বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করা ১৬ লাখ শিক্ষার্থী এখন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অপেক্ষায়। আগামী ২৬ মে থেকে অনলাইনে শুরু হচ্ছে ভর্তি প্রক্রিয়া। ভর্তিচ্ছুরা ১৫০ টাকা ফি দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারবে।

এসএসসিতে পাওয়া নম্বর অনুযায়ী পছন্দের তালিকা থেকে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবেন শিক্ষার্থীরা।

একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই। ইতোমধ্যে ভর্তির নীতিমালাও প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর সারা দেশে আসন আছে ২৫ লাখেরও বেশি। তাই পাস করা সব শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হলেও হবে না আসন সংকট। উল্টো ফাঁকা থাকবে ৮ লাখের বেশি।

বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান যে শূন্য থাকবে তা না। সবাই শিক্ষার্থী পায়। দেখা গেল, কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি আসন থাকে ১০০, সে হয়তো পেলো ৩০-৪০ শিক্ষার্থী।

তবে প্রতিবছরই বেশ কিছু কলেজে আসন সংখ্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করে। এবারও প্রায় দুই লাখের মতো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের প্রায় সবারই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রাজধানীসহ সারা দেশে আড়াইশর মতো কলেজ। যেগুলোতে সবমিলিয়ে আসন আছে এক লাখের মতো। এসব কলেজের মধ্যে রাজধানীর ৩০ থেকে ৩৫টি কলেজে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়ে। এই কলেজগুলোতে আসন আছে ৩০ হাজারের মতো। তাই এবারও কাঙিক্ষত কলেজ পাবে না জিপিএ-৫ পাওয়া অনেকেই।

এ অবস্থায় অন্তত ৮০ হাজার শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে হবে দ্বিতীয় বা তৃতীয় গ্রেডের কলেজে। তাই এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী পছন্দ তালিকা পূরণের পরামর্শ শিক্ষাবোর্ডের।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তপন কুমার বলেন, তোমাদের যে প্রাপ্ত নম্বর, সেটি বিবেচনা করে কলেজ দেবে। সবাই চায় নামকরা কলেজে ভর্তি হতে। এজন্য অনেকেই ঢাকার ভালো কলেজগুলো ছাড়া সিলেকশন দেয় না। কিন্তু অনেক সময় সবার নাম আসে না ওইসব কলেজে। তখন বিপত্তিতে পড়ার ঘটনা আমরা আগেও দেখেছি। তাই এবার আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের সতর্ক হতে হবে। জিপিএ-৫ পেলেও নম্বর বিবেচনা করে নামকরা কলেজের পাশাপাশি দ্বিতীয় গ্রেড বা এলাকাভিত্তিক প্রথম সারির কলেজগুলো সিলেক্ট করতে। তাহলে সবাই কাঙিক্ষত না হলেও কাছাকাছি মানের ভালো কলেজ পাবে বলে আশা করছি।

তবে গতানুগতিক শিক্ষার পেছনে না ছুটে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষা বিশ্লেষকরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিতে হবে। অভিভাবকদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। আর এমন শিক্ষায় জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে এবারো ঢাকার নটর ডেম, হলিক্রস, সেন্ট জোসেফ কলেজ নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে একাদশ শ্রেণির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করবে।

Scroll to Top