আপনার ফলমূল-শাকসবজি কি জীবাণুমুক্ত এবং নিরাপদ?

এই তো গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। ৭ এপ্রিল, প্রত্যেক বছর এই বিশেষ দিনটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষ কিছু ব্যাপারে শপথ নেয় আর লোককে শপথ নেওয়ার। এ বছরের লক্ষ্য ‘খাদ্য নিরাপত্তা’। আসলে কথটা হল যেখানে খাদ্য তৈরি হচ্ছে আর যেখানে খাবার খাওয়া হচ্ছে এই পুরো প্রক্রিয়াটাকে নিরাপদে রাখা। এক কথায় ‘টু কিপ ফুড সেফ ফ্রম ফার্ম টু প্লেট’।

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৯৯ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। সাড়ে ৫ লাখের বেশি আক্রান্ত এবং প্রায় ২৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে। বড় বড় সকল অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে, সকল দেশই প্রায় বিদেশি নাগরিক প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউ এইচ ও) একে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ভাইরাসের প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার না হওয়ায় সচেতনতাই এর বিস্তার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউ এইচ ও) এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, হাঁচি কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করা, অনেকক্ষণ সময় নিয়ে কাঁচা শাকসবজি ও ফল-মূল ভালো করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করা, ইত্যাদি নানা ধরনের নির্দেশনা সকলের জন্যই দেওয়া হয়েছে।

আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই তাতে নানা রকমের রাসায়নিক (ফরমালিন, কীটনাশক, ইত্যাদি), ক্ষতিকর পদার্থ (ধুলা-বালি ও ময়লা) ও রোগ বহনকারী জীবাণু মিশে থাকে। রাসায়নিক (ফরমালিন) বা কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কাঁচা শাকসবজি দেখতেও বের তরতাজা মনে হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।যদিও আমরা স্বাভাবিকভাবে কাঁচা শাকসবজি ও ফল-মূল পানি দিয়ে ধুয়ে খাই কিন্তু শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে খেলে খাবারের ওপর কঠিন ভাবে লেগে থাকা দূষিত উপাদান পুরোপুরি দূর হয় না। এ কারণে আমাদের বিভিন্ন রকম অসুখ বিসুখ ও রোগ হতে পারে। করোনা ভাইরাসেও আক্রান্ত হতে পারি আমরা।

ফলমূল-শাকসবজি জীবাণুমুক্ত করার উপায়ঃ

বাংলাদেশে স্বনামধন্য ওষুধ কোম্পানি রেনাটা লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পূর্ণাভা লিমিটেড ক্লিনআভা নামের একটি পণ্য বাজারজাত করছে যা একটি ন্যাচারাল ফর্মুলা। এটি শাকসবজি ও ফল-মূল থেকে রাসায়নিক (ফরমালিন, কীটনাশক, ইত্যাদি), ক্ষতিকর পদার্থ (ধুলা-বালি ও ময়লা) ও রোগ বহনকারী জীবাণু দূর করে খাবারকে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ করে। এটি বিসিএসআইআর এর উদ্ভাবিত একটি ফর্মুলা। ক্লিনআভা পানির সারফেস টেনশন কমিয়ে পানির ওয়েটিং ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে শাকসবজি ও ফল-মূল ঠিকমতো ভিজতে পারে। তারপর খাবারের গায়ে লেগে থাকা ক্ষতিকর উপাদানের সঙ্গে বন্ড তৈরি করে।

যখন নির্দিষ্ট সময় পর ক্লিনআভা মেশানো পানি দিয়ে খাবার ভালো ভাবে কচলে ধুয়া হয় তখন খাবারের সারফেস পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যায়। ১টা পাত্রে ১ লিটার পানিতে ২ মিলি ক্লিনআভা মিশিয়ে দিতে হবে এতে ১ কেজি সমপরিমাণ শাকসবজি ও ফল-মূল ২০-৩০ মিনিট ডুবিয়ে রেখেই জীবাণুমুক্ত করা যাবে। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে আবার ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পানি, ক্লিনআভা, শাকসবজি ও ফল-মূল তিনটি ১:২:১ এই অনুপাত রাখতে হবে। দ্রুত পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ২ মিলির পরিবর্তে বাড়িয়ে ৪ মিলি পর্যন্ত ক্লিনআভা দেওয়া যেতে পারে। কাঁচা শাকসবজি ও ফল-মূল এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা গেলেও মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে ক্লিনআভা ব্যবহার করা যাবে না।

ক্লিনআভা যেকোনো বড় ফার্মেসি ও বড় বড় সব সুপার শপেই পাওয়া যাচ্ছে। পূর্নাভার ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনেও অর্ডার করা যাবে। ১০০ মিলির এক বোতল ক্লিনআভার দাম মাত্র ২৫০ টাকা। তাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং রোগ জীবাণুমুক্ত সুস্থ জীবন যাপনের জন্য সব সময় ক্লিনআভা দিয়ে শাকসবজি ও ফল-মূল জীবাণুমুক্ত করে খাওয়া উচিত।