মানি লন্ডারিং মামলাঃ গোল্ডেন মনিরসহ তিন জনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দ

ক্যান্টনমেন্ট এবং গুলশান থানার অংশ থেকে গঠন হওয়া বাড্ডা থানায় দায়ের করা মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় দোকানের কর্মচারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরসহ তিন জনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (০৮ জুন) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।

ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়া অপর দুজন হলেন—সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক।

মামলার অনুসন্ধান চলাকালে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী গোল্ডেন মনিরসহ তিন জনের এসব হিসাব জব্দের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।

গত ১১ মে বিকেলে সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে গোল্ডেন মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার ও ছেলে রাফি হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—গোল্ডেন মনিরের বোন নাসিমা আক্তার, নাসিমার স্বামী হাসান আলী খান, মনিরের আরেক ভগ্নিপতি নাহিদ হোসেন, গোল্ডেন মনিরের সহযোগী আবদুল হামিদ, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, রিয়াজের ভাই হায়দার আলী এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক।

মামলা দায়েরের পর গত ১৯ মে আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিলেন।

২০২০ সালের ২০ নভেম্বর গভীর রাতে মনিরের বাড্ডার বনশ্রীর বাড়ি ঘিরে রাখে র‍্যাব। পরে ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টার অভিযান শেষে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। সবশেষ মানিলন্ডারিং আইনের মামলাটি দায়ের করা হয়।