আমার জীবন থেকে একটা অংশ হারিয়ে গেছে : খাদিজা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারামুক্ত হয়ে পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। সোমবার বেলা ১১ টায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দুপুর ১ টায় বের হন তিনি।

আজ সকাল ১০ টায় পরীক্ষার সময়সূচী থাকলেও এক ঘন্টা পরেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। দুই সেমিস্টার লস দিয়ে চতুর্থ সেমিস্টারে পরীক্ষায় বসেছেন তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার এক বছর দুই মাস ২৩ দিন পর মুক্ত হন খাদিজা।

এর আগে সোমবার সকাল ৯ টায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জামিনে মুক্তি পান খাদিজা।

দীর্ঘ ১৫ মাস পর আজকে কারামুক্ত হয়ে কিছু বলার মত মানসিক শক্তি আমার নেই। এখনো বুঝতে পারছি না, আমি বন্দিদশায় নাকি মুক্ত।’
সকাল ১০ টায় পরীক্ষার সময়সূচী থাকলেও প্রায় এক ঘন্টা পর পরীক্ষার হলে ঢোকেন খাদিজা।

কারাভোগের কারণে দুই সেমিস্টার গ্যাপ গেছে তাঁর। সকাল ৯ টার দিকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা বলেন, ‘খুব সকালে আমরা কারাগারে আসি। এরপর সকাল ৯টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ খাদিজাকে মুক্তি দেয়। আজ খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসি।

খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া দুই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেওয়া হয়। জামিনের আদেশ গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়।

খাদিজার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইতোমধ্যে দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে পারেননি খাদিজা। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই মামলায় হাইকোর্ট তাঁর স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।

Scroll to Top