ঘুষ নেয়ার মামলায় জামিন পেলেন নাজমুল হুদা

২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে জামিন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। এর আগে চার বছরের দণ্ডের এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন নাজমুল হুদা। একইসঙ্গে জামিন আবেদনও করেছিলেন তিনি।

আদালতে এদিন নাজমুল হুদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, মনসুরুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে এ ব্যাপারে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, তার (নাজমুল হুদা) লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেছেন। একইসঙ্গে জামিনও দিয়েছেন। এখন তার এ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘খবরের অন্তরালে’র জন্য মীর জাহের হোসেনের কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা।

এরপরে একই বছরের(২০০৭ সাল) ২৭ আগস্ট ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে দুর্নীতির দায়ে নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। একইসঙ্গে তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট। কিন্তু এ রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে এই মামলার পুনঃশুনানি নেওয়া হয়। পুনঃশুনানির পর ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে নাজমুল হুদার সাজা কমিয়ে চার বছর কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একই রকম মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তার স্ত্রী সিগমা হুদার কারাগারে থাকাকালীন সময়কে সাজা হিসেবে গণ্য করেছেন।