ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় উত্তরের জনপদের জনজীবনে ভোগান্তি

ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। তীব্র ঠান্ডা ও কনকনে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশায় কারণে টানা ছয় দিনের মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে এই জেলায়। এতে জনজীবনে চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে।

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে রাতভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়ছে এই অঞ্চলে। সেইসঙ্গে ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে রাস্তাঘাট। দিনের বেলাতেও সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনকে।

এমন পরিস্থিতিতে শীত নিবারণের জন্য খড়-কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে হচ্ছে মানুষজনকে। অন্যদিকে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার কারণে সময় মতো কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবীসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের।

রিকশাচালক বাবুল মিয়া জানান, একদিকে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার কারণে রিকশায় উঠতে চায় না। অন্যদিকে প্রচণ্ড ঠান্ডায় চলাফেরা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফলে আমাদের আগের মতো আয়-রোজগার কমে গেছে।

নাওডাঙ্গা এলাকার দিনমজুর হাফেজ আলী ও ইসলাম মিয়া জানান, এক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড ঠান্ডা। তার পরেও জীবিকার তাগিদে ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকার পরেও কাজে বেড়িয়েছি। কাজ না করলে সংসার চলবে কিভাবে। অনেক মানুষ কম্বল পাইছে। আমরা এখনো পাইনি।

এ অস্থায় সব থেকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কমলমতি শিশু, বয়স্ক ও কৃষকদের। ঘন কুয়াশার কারণে ভুট্টা, বোরো বীজ তলা, মরিচ ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজিতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা তুহিন মিয়া আরও জানান, জেলায় টানা ছয় দিন থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। আর এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও বেশ কিছু দিন অব্যাহত থাকবে।