পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরআন্ডা বাজার থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বাড়ী ফেরার পথে অপহরণ করে ধর্ষণ ও হত্যার পর মরদেহ গুম করতে নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনার ৭ দিন পর বঙ্গোপসাগরের শিবচর থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে জেলেরা।
পরে শিশু লামিয়ার মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে শিশু লামিয়াকে অপহরণ করা হয়। এলাকার অটোরিক্সা চালক আলআমিন তাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায় এবং তার উপর নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে লামিয়ার মৃত্যু হলে লাশ গুম করতে মরদেহ টেনে নিয়ে নদীতে ফেলে দেয় আলআমিন।
পরদিন পুলিশ সন্দেহভাজন আলআমিনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আলআমিন পুরো ঘটনা স্বীকার করে এবং পরে আদলতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এ ঘটনার ৭ দিন পর শুক্রবার লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে জেলেরা।
লামিয়া হত্যার বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে এলাকায় মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষ।