কুষ্টিয়া-৪ আসনে নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ; আহত ৬

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালি-খোকসা) আসনে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। এতে জড়িত অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার রাত ৯টার দিকে কুমারখালি উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

এতে দুইপক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

আহতরা হলেন—নৌকার সমর্থক শাজাহান আলী বাবু, তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম বাশার ও সানি। তাঁদের বুকে, পিঠে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর আহতরা হলেন—বিল্লাল হোসেন, বাপ্পী শেখ ও তুষার। তাদের মধ্যে বিল্লালের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তাঁরা উপজেলা ও কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয় নৌকা প্রার্থীর সমর্থক ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান সাবু বলেন, ‘আমার লোকজন স্বতন্ত্র অফিসের সামনে দিয়ে নৌকার মিছিল করতে করতে যাচ্ছিল। সে সময় মিজান চেয়ারম্যানের (যদুবয়রা ইউপি) নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে বাবু, বাশার ও সানি গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘নৌকার সমর্থকেরা প্রথমে আমাদের বহলবাড়িয়া অফিস ভাংচুর করে। পরে ছাতিয়ান অফিস ভাংচুর করে। এরপর জয়বাংলা অফিস ভাঙতে এসে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমার তিনজন আহত হয়েছে। এ ছাড়া মিলন, লিখন ও রাব্বি নামের তিনজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।’

মিজানুর রহমানের দাবি, তিনি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত নন। তাকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।

জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হক জানান, উভয়পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে গিয়ে এবং তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। খুব দ্রুত বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

Scroll to Top