টঙ্গীতে আগুনে পুড়ল খাদ্যপণ্যের ১২ গুদাম

গাজীপুরের টঙ্গী বাজারে আগুনে খাদ্যপণ্যের ১০ থেকে ১২টি গুদাম পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশে কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ারদার।

একই দিন সকালে নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাজবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। এর আগের দিন মঙ্গলবার ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জন নিহত হন। এদের মধ্যে এক পরিবারের পাঁচজনের ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন বলছে, গত মাসে (মার্চ) সারা দেশে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মারা গেছেন ৫৬৫ জন। আহত হয়েছেন ১২২৮ জন।

ঝালকাঠিতে ট্রাক-কার-অটোর সংঘর্ষে নিহত ১৪: ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন। গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে আন্ডারপাস সড়কে থাকা মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে এটি মুহূর্তেই দুমড়ে-মুছড়ে যায় বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল। তিনি জানান, এ সময় ট্রাক-মাইক্রোবাস-আটোরিকশা মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৪ জন নিহত হন। আহতদের বরিশাল মেডিক্যালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় চাপা দিয়ে ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাকের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এসপি টুটুল জানান, ঘটনার পরপরই চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘাতক চালক আল আমিন হাওলাদার ঝালকাঠি সদরের নবগ্রামের বাসিন্দা। আর সহকারী নাজমুল শেখ খুলনা সদরের বাসিন্দা। আল আমিন নিয়মিত চালক ছিলেন না। তিনি বদলি চালক হিসেবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি খুলনা থেকে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মেহেদী হাসান সানি জানান, নিহতদের স্বজনরা হাসপাতালে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছেন। নিহতরা হলেন-ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান গ্রামের সেলিম হাওলাদারের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৫), ওস্তাখান গ্রামের আব্দুল মান্নান মাঝির ছেলে শফিকুল মাঝি (৫০), নওপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিম মাঝির ছেলে অতিকুর রহমান সাদি (১১), নূরুল ইসলামের ছেলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য ইমরান হোসেন (৪০), কাঁঠালিয়া উপজেলার তালগাছিয়া গ্রামের মো. ইব্রাহীমের মেয়ে নূর জাহান (৭) ও তাহমিনা, প্রাইভেট কার চালক রাজাপুর উপজেলার এলাকার মো. ইব্রাহিম, রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের বারেক মৃধার মেয়ে নিপা আক্তার, উত্তর সাউদপুর গ্রামের সনিয়া বেগম, তানিয়া আক্তার, তাহমিদ রহমান, হাসিবুর রহমান। এছাড়া বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি গ্রামের মো. রুহুল আমিন এবং দুর্ঘটনাস্থলে থাকা ভিক্ষুক মো. শহিদুল ইসলাম।

ঝাালকাঠির গাবখাান সেতুর টোল কর্মীরা জানান, দুপুর ২টার দিকে ব্রিজ থেকে ট্রাকটি নামার সময়ই ওর গতি দেখে গণ্ডগোল বুঝে রাস্তা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিই। এরমধ্যেই জোর বিকট শব্দ হয়। দৌড়ে এসে ক্ষতবিক্ষত ও ছিন্নভিন্ন অবস্থায় দেখতে পাই। স্থানীয়রা জানান, রাজাপুরের দিক থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে আসা সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক গাবখান ব্রিজ থেকে নামার সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। টোল প্লাজায় অবস্থানরত একটি মাইক্রোবাস ও অটো রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে খাদে পড়ে। ট্রাকের ক্ষতি কম হলেও মাইক্রোবাস ও অটো রিক্সাটি দুমড়ে মুচরে বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয়রা এবং ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালায়। এতে রক্তাক্ত অনেক দেহ বের করা হয়। টোলপ্লাজার কর্মীরাও রয়েছে।

গতকাল দুপুরের পর সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে আহত বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফারহা গুল নিঝুম বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ, পঙ্গুত্ব বরণকারীদের তিন লাখ ও আহতদের এক লাখ টাকা করে অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। এ ঘটনায় চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

একই পরিবারে নিহত ৬, হানিমুনে যাওয়া হলো না নবদম্পতির: দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রাইভেটকারে করে বরিশালে যাচ্ছিলেন ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাংগর গ্রামের বাসিন্দা হাসিবুর রহমান। যাত্রাপথে গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় দাঁড়িয়ে টোল দিচ্ছিলেন গাড়ির চালক। ঠিক তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় গাড়িতে থাকা হাসিবুর রহমান (৩২), তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার (২৭), সন্তান তাকিয়া (৪), তাহমিদ (৮ মাস), সদ্য বিবাহিত ইমরান (২৬) ও তার স্ত্রী নিপা (২২) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে মরদেহের পাশে বিলাপ করতে করতে এসব কথা বলছিলেন নাহিদার বোন তরিকা আক্তার। তিনি সাংগর গ্রামের আব্দুল বারেকের মেয়ে। বিলাপ করতে করতে তরিকা আক্তার বলছিলেন, ‘ওরে নাহিদা, ওরে নিপা তোদের ছাড়া আমি ক্যামনে থাকবো? তোদের ছোট ছোট সন্তানদেরও আদর করে দিলাম। এটাই যদি শেষ আদর হবে বুঝতাম তাহলে আরও বেশি করে আদর দিতাম!’ তিনি জানান, ছোট বোন নিপার একমাস আগে বিয়ে হয়েছে। নবদম্পতির ইচ্ছা ছিল বরিশাল থেকে কুয়াকাটা গিয়ে হানিমুন করবেন। কিন্তু সেই ইচ্ছা আর পূরণ হলো না। এখন হানিমুনের পরিবর্তে চিরশায়িত হবেন তারা।

নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত: আমাদের নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ওই দম্পতির পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সন্তান জুনাইদ ইসলামসহ সংঘর্ষে জড়ানো আরেক মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ-সান্তাহার আঞ্চলিক সড়কে শহরের সাহাপুর মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দম্পতি হলেন জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী গ্রামের মো. আকরাম হোসেনের ছেলে আনছার ভিডিপি সদস্য এনামুল হক (৪০) ও তার স্ত্রী মোছা. বৃষ্টি খাতুন (৩২)। নিহত এনামুল হক আনছার ভিডিপি সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা আনছার ভিডিপি কমাড্যান্ট শেখ ফিরোজ আহম্মেদ।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিতে ওই দম্পতি তাদের সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নওগাঁ শহর থেকে বগুড়ার সান্তাহারের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই মুহূর্তে বিপরীত দিক থেকে আরেকটি মোটরসাইকেল দ্রæতগতিতে আসছিল। পথে নওগাঁ-সান্তাহার আঞ্চলিক মহাসড়কের সাহাপুর মোড়ে পৌঁছালে মোটরসাইকেল দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান এনামুল হক-বৃষ্টি খাতুন দম্পতি। তবে ভাগ্যক্রমে তাদের পাঁচ বছর বয়সী শিশু সন্তান জুনাইদ ইসলাম বেঁচে যায়।

ওসি বলেন, সংবাদটি পাওয়ার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আহত জুনাইদ ইসলাম এবং সংঘর্ষে জড়ানো মোটরসাইকেল আরোহীকে উদ্ধার করে নওগাঁর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তারা দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি নিহত দম্পতির স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

রাজবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১: আমাদের রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের চরলক্ষীপুর এলাকায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাট বোঝাই ট্রাকের পেছনে এলপিজি গ্যাস বহনকারী একটি ট্রাকের ধাক্কায় দিলীপ শিকদার (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ওই ব্যক্তি এলপিজি গ্যাস বহনকারী ট্রাকের হেলপার। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দিলীপ য?শোরের আন্দলবাড়ীয়ার রণজিৎ শিকদারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চরলক্ষীপুর সড়কের পাশে রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রো-ট ১৫-৭৩৩৮ পাট বোঝাই ট্রাকটি দাঁড় করিয়ে চা পান করতে যায় ট্রাকের চালক ও হেলপার। এ সময় কুষ্টিয়ার দিক থেকে আসা একটি এলপিজি গ্যাস বহনকারী ক্যারিয়ার ট্রাক ঢাকা মেট্রো-ঢ ৬২-০০৫৪ এসে পাট বহনকারী ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে পাট বোঝাই ট্রাকটি সড়কের পাশে খালে উল্টে পড়ে যায় এবং গ্যাস বহনকারী ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এতে ওই ট্রাকের হেলপার গাড়িতে আটকা পড়ে। সে সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ফায়ার সাভির্সের সদস্যদের খবর দেয়। পরে তারা এসে ট্রাকের জানালা কেটে তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এক মাসে সড়কে নিহত ৫৬৫, বেশি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা: এদিকে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন বলছে, গত মাসে (মার্চ) সারা দেশে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মারা গেছেন ৫৬৫ জন। আহত হয়েছেন ১২২৮ জন। এই এক মাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে। ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মোট ২০৩ জন মারা গেছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ এবং মোট নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ। একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত এবং ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি। মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত এবং ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং ৯২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।