Auto Bike

ঢাকায় আর ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না: কাদের

ঢাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত কোনো রিকশাচলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকায় চলাচল করা লক্কর ঝক্কর ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার।

বুধবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভায় এই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, “ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।”

বিদ্যুৎচালিত তিন চাকার যানগুলো অটো, ইজিবাইকসহ নানা নামে পরিচিত। দুর্ঘটনার জন্য সড়কে মোটরবাইক এবং ইজিবাইকের চলাচলকে দায়ী করেন তিনি।

কাদের বলেন, “দুর্ঘটনা নিয়ে নানা কথা আছে। আজকে সৌদি আরবের কথা ধরেন, যদি আবুধাবিতে দুর্ঘটনায় দেড়শ থেকে দুইশ লোক মারা যায়, সেসব নিয়ে কিন্তু উচ্চবাচ্য সেসব দেশে হয় না। আমাদের এখানে ক্যাজুয়ালটি বেশি হচ্ছে। কারণ, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকের মত গাড়ি রাস্তায় চলাচল করছে।

“ইজিবাইকে ৮-১০ জন থাকে, বড় গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ইজিবাইকের সবাই শেষ। তখন ক্যাজুয়ালটি বেড়ে যায়। মোটরসাইকেলও এখন আরেক উপদ্রব।”

সভায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রও শহরের মধ্যে ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন”

ব্যাটারিচালিত যান সড়কের জন্য ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ মত দিয়ে উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে, ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না।“

শব্দ দূষণ নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। জানান, এ কারণে গত ১০ বছর ধরে নিজে নিরাপত্তা বহরে হুটার ব্যবহার করেন না।

তিনি বলেন, “অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের মত জরুরি সেবা ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে হুটার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত”

Scroll to Top