ভুয়া কাজীর ভুয়া কাগজে দুই শতাধিক বিয়ে!

ভারতের হায়দরাবাদ পুলিশ বিভাগ সম্প্রতি এক র‍্যাকেটে ভুয়া কাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ভুয়া কাজী ইতিমধ্যে দুই শতাধিক বিয়ে পড়িয়ে ফেলেছেন।

হায়দরাবাদ থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আলী আব্দুল্লাহ রাফাই নামের ওই কাজী ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যে বিয়ে সম্পন্ন করতেন। অনুসন্ধানে আরো মারাত্মক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তার সহযোগী হিসাবে সামনে এসেছে মুম্বাইয়ের প্রধান কাজী ফরিদ আহমেদ খানের নাম। তাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনিও অবৈধভাবে বাল্যবিবাহ পড়াতেন। গ্রেপ্তারের পর দুই দিন পুলিশের হেফাজতে কাটিয়েছেন দুই কাজী।
দেখা গেছে, ভারতের ওয়াকফ বোর্ড ২০১৪ সাল থেকে রাফাইয়ের নামে কোনো \’সিয়াহনামা (বিয়ে পড়ানোর কাগজপত্র) ইস্যু করেনি। অথচ রাফাই দুই শতাধিক বিয়ে পড়িয়ে ফেলেছেন।

যাদের বিয়ে পড়ানো হয়েছে তাদের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েরাসহ আরব বংশোদ্ভূত নারীরাও আছেন। এসব তথ্য জানান অ্যাসিস্টেন কমিশনার মোহাম্মেদ তাজুদ্দিন আহমেদ। আগে থেকেই কাজী হিসেবে রাফাইয়ের কার্যক্রমকে স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তিনি হাইকোর্টে স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করেন। বিষয়টির সুরাহা হয়নি এখনও। তাই ওয়াকফ বোর্ড তাকে বিয়ে পড়ানোর জন্য কোনো কাগজপত্র প্রদান করে না। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি ভুয়া বিয়ের কাজ করে যাচ্ছেন।

ইতিমধ্যে ওয়াকফ বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তার সহায়তা নিয়ে রাফাইয়ের সম্পন্নকৃত বিয়ের কাগজপত্র পরীক্ষা করছে পুলিশ। আসলে তার বাবাও একজন কাজী ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মৃত্যুর পর থেকে যাওয়া কাগজপত্র দিয়ে কাজ চালাতেন তিনি। ২০১৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর নিজেই কাজীন দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন। যদিও তাকে নিয়োগ দেয়নি ওয়াকফ বোর্ড। পরদিনই তাকে কাজী দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু ভুয়া সিয়াহনামার মাধ্যমে দুই শতাধিক জুটিকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। এখন ভুয়া কাজীর পড়ানো বিয়েগুলোও ভুয়া হবে কিনা তা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণে বিষয় আছে। আপাতত পুলিশ মুম্বাইয়ের ফরিদ কাজীর অবৈধ কার্যকলাপের সন্ধান করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/নীল