মহিলারা কি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি পরচর্চা করতে পছন্দ করেন?

পরচর্চায় নাকি মহিলাদের জুড়ি মেলা ভার। পুরুষরা যে পরচর্চায় মেতে ওঠেন না, তা নয়। কিন্তু মহিলারা তুলনায় বেশি। সে কথা তাঁরা নিজেরাও অস্বীকার করেন না। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন পরচর্চায় মেতে উঠতে ভালবাসেন মহিলারা? সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এল সে উত্তর।

তা কেন পরচর্চায় মনযোগী হন মহিলারা? এ আসলে নেহাতই সময় নষ্ট নয়, বরং রীতিমতো একটি কৌশল। কোনও পুরুষ সঙ্গীর প্রতি যদি অন্য কোনও মহিলা মনযোগী হয়ে ওঠে, তবে সেই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফলতেই এই কৌশল নেন মহিলারা। কানাডার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ ব্যাপারে সমীক্ষা করেন। এভলিউশনারি সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সের জার্নালে এ ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর এক অভিনব দিগন্ত খোলে। এই সমীক্ষা জানাচ্ছে, পরচর্চা নেহাতই স্বভাবের দোষ নয়। বরং এমন এক সামাজিক দক্ষতা যা চর্চার মাধ্যমে বাড়িয়ে তুলতে হয়। মহিলারা তা করেন। সেইসঙ্গে ইন্টারসেক্সুয়াল কমপিটিশন জেতার একটি কৌশলও বটে।

কীভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন গবেষকরা? প্রায় ২৯০ জন পড়ুয়াদের সামনে বিশেষ কিছু প্রশ্ন রাখেন গবেষকরা। এই পড়ুয়াদের বয়স ছিল ১৭ থেকে তিরিশের মধ্যে। বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয় পরচর্চার কারণ ঠিক কী? দেখা যাচ্ছে, সমলিঙ্গের প্রতি যাঁদের প্রতিযোগিতার মনোভাব বেশি, তাঁরাই পরচর্চায় বেশি মন দেন। এ কারণেই অধিকাংশ মহিলা পরচর্চা করেন। তুলনায় পুরুষরা কম। তারাও পরচর্চা করেন, তবে তাঁদের আলোচনার বিষয় অন্যরকম, মূলত অর্থ ও সম্পদকেন্দ্রিক। অন্যদিকে মহিলাদের গসিপের মধ্যে থাকে এই প্রতিযোগিতা। গসিপের মাধ্যমে অনেক তথ্যও সংগ্রহ করেন তারা।

তবে শুধু প্রতিযোগীকে ঘায়েল করা নয়, অন্য মহিলাদের সাজ-পোশাক ইত্যাদিও মহিলাদের পরচর্চার অন্যতম বিষয়। এই সমীক্ষা অবশ্য জানিয়ে দিচ্ছে, পরচর্চার পিছনে এক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কারণও আছে। যার সঙ্গে জড়িয়েছে মনস্তত্ত্বও। সুতরাং পরচর্চাকে যাঁরা হেলাফেলা করেন, এই ফলাফলের পর নিশ্চয়ই আর তা করবেন না।

কেননা সঙ্গীকে জিতে নিতে প্রতিযোগিতায় নামা যে কোনও প্রজাতির প্রাণীর মধ্যেই দেখা যায়। প্রাণীজগতে তার জন্য নানা কৌশলও দেখা যায়। সেই সমাজে সবথেকে বুদ্ধিমান মানুষ। সুতরাং তার কৌশলও হবে উন্নত। সেই বিবর্তনেরই ইঙ্গিত থাকল এ ফলাফলে।

বাংলাদেশ সময় : ১৪০০ ঘণ্টা, ০৯ অক্টোবর,  ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ