৩৩৩৮ করোনা রোগী পলাতক, হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ

ভারতে লাগামহীন হয়ে উঠেছে মহামারী করোনা পরিস্থিতি৷ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও৷ পরিস্থিতি এতটাই সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে যে, একাধিক রাজ্য ফের লকডাউনের পথে হাঁটার কথা ভাবছে৷ ব্যতিক্রম নয় কর্নাটকও। কিন্তু সেই কর্নাটকেই এবার শোরগোল পড়ে গেছে একটি খবরে। বেঙ্গালুরু থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছেন ৩ হাজার ৩৩৮ জন করোনা রোগী! তারা কোথায় গেছেন, কেউ তা জানে না। প্রশাসন তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালালেও এখনো কারো খোঁজ মেলেনি।

বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিবিএমপি) কমিশনার এন মঞ্জুনাথ টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩৩৮ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের প্রত্যেকের করোনা রিপোর্টই পজিটিভ এসেছে। তাদের খুঁজে পেতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।’

গত ২৪ ঘণ্টাতে ৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন শুধুমাত্র কর্নাটকে। সে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁতে চলেছে এক লাখের গণ্ডি! নতুন করে ৭২ জন-সহ মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৯৬ জনের। এমন পরিস্থিতিতে ৩৩৩৮ জন করোনা রোগীর সন্ধান না পাওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, যে সমস্ত করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে না, তাদের কেউ ভুল মোবাইল নম্বর দিয়েছেন, কেউ বা নমুনা পরীক্ষার সময় ভুল ঠিকানা দিয়েছেন। সেই সব রিপোর্টের ফল পজিটিভ আসার পর থেকেই পলাতক ওই রোগীরা।

পরিস্থিতি দেখে নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে। ঠিক হয়েছে, এবার থেকে কারো সোয়াব স্যাম্পেল নেওয়ার আগে সরকার প্রথমে তাদের পরিচয়পত্র দেখবে। শুধু তাই নয়, তাদের প্রত্যেকের মোবাইল নম্বরও ভেরিফাই করা হবে।

রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডঃ অস্বত নারায়ণ বলেন, ‘আমাদের এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে, সমস্ত সংক্রমিত রোগীদের খুঁজে বের করে তাদের কোয়ারেন্টিন করা। সেই কারণে আমরা নির্দেশিকা জারি করেছি। যাঁদের খোঁজ মিলছে না, তাদের খোঁজ পেলেই যেন সতর্কতা অবলম্বন করে কোয়ারেন্টিন করা হয়।’

উল্লেখ্য, ভারতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতির কোন লক্ষণ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৮ হাজার ৬৬১ জন। সেই সঙ্গে লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। একদিনে আরো ৭০৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে ভারতে করোনায় মোট মৃত্যু ছাড়াল ৩২ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫২২ জন।
: ইন্ডিয়া টাইমস।