চকলেট পাউডারে ঢেকে গেল সুইজারল্যান্ডের রাস্তা

\’চকলেট\’ মানেই একটু মিষ্টি , ছোটবেলার দুষ্টামি, মিষ্টি জাতীয় কিছু খাবারের চিত্র ভেসে আসে চোখে। তবে সুদূর অতীতের চকলেটের সঙ্গে আজকের দিনের চকলেটের মিল খুবই কম। ইতিহাস বলে, অতীতের চকলেট কোনও মিষ্টি ও ভক্ষণযোগ্য নয়, বরং ছিল তিতা স্বাদের খুবই সম্মানজনক একটি পানীয়।

আর এই সুস্বাদু ফ্যাটযুক্ত খাবারটি কোকো গাছের ফল থেকে তৈরি হয়। সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ আমেরিকায় পাওয়া যায় এই কোকো গাছ। গুটি গুটি ফলগুলোর একেকটিতে ৪০টির মতো বিন বা শুটি থাকে। শুটিগুলো শুকিয়েতারপর পুড়িয়ে বানানো হয় কোকোবিন।

যদিও কে কখন কীভাবে প্রথম এই চকলেটের আবিষ্কার করেছিলেন তা জানা যায়নি। তবে বর্তমানে বিশ্বের সবদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এই চকলেটের। মিষ্টি খাবার হিসেবে আমাদের দেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও কোনও ভালো কিছু ঘটলে বা খুশির খবর থাকলে চকলেট খাওয়া অথবা উপহার হিসেবে দেওয়ার চল রয়েছে।

তবে আপনার সামনে কেউ যদি প্রচুর পরিমাণে চকলেট পাউডার ফেলে রাখে তাহলে আপনি কী করবেন? ভাবছেন এমন আবার হয় নাকি? চকলেটের যা দাম। তাতে কেউ রাস্তায় অগুনিতক চকলেট বিছিয়ে রাখবে এ অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এমনই ঘটনা ঘটেছে স্বপ্নের দেশ সুইজারল্যান্ডে। তবে কাউকে সারপ্রাইজ গিফট দিতে নয়, সুইসের চকলেট প্রস্তুতকারক একটি কারখানা থেকে অসাবধানতা বশত প্রচুর কোকোপাউডার রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর এমন ছবি ধরা পড়েছে ইন্টারনেটে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সুইসের যে রাস্তার ধারে চকলেট তৈরীর কারখানাটি রয়েছে তার আশেপাশের সব অংশে বাদামী চকলেট পাউডারের গুঁড়োয় ভর্তি। আর যা দেখে বিষ্মিত ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা।

এই বিষয়ে ‘লিন্ড অ্যান্ড স্প্রুঞ্জলি’ নামের ক্যাডবেরি প্রস্তুতকারক ওই সংস্থাটি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় একটি প্রতিবেদনে বলেন যে, জুরিখ এবং বাসেলের মধ্যে ওলটেনের কারখানায় রোস্ট করা ‘কোকো নিবস’ ঠান্ডা করার সময় বায়ুচলাচলের মেশিনে সমস্যা দেখা দেয়। আর সেসময় সকালের প্রবল বাতাসের সঙ্গে মিশে গিয়ে ওই পাউডারটি কারখানার আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এবং একটি সূক্ষ্ম কোকো ধুলোর আস্তরণ ফেলে দেয় চারিদিকে।

সংস্থাটি আরও জানায় যে, এই কোকো পাউডার রাস্তায় ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি গুলির উপর পাউডারের হালকা আস্তরণ ফেলেছিলো। তবে সেগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য তাদের আর্থিক সাহায্য দিতে চেয়েছিল কোম্পানি। যদিও কেউ তাতে রাজি হয়নি। এছাড়াও ওই সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, চকলেটের এই কণাগুলি মানুষ বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়।