মির্জাপুরে অভিনব কায়দায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে প্রতারণা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অভিনব কায়দায় প্রতারক চক্র মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ পেতেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে এই ফাঁদে পড়ে এক মুক্তিযোদ্ধা ৪২ হাজার ৩৩০ টাকা খুইয়েছেন বলে জানা গেছে।

মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের মোবাইলে ফোন করে প্রতারক চক্র মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আপনাদের জন্য বিরাট একটি অফার আছে বলে জানায়। জানতে চাইলে অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সরকার আপনাকে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে। তারপর একেকজনকে একেকভাবে ৪২ থেকে ৪৫ হাজার টাকা এই নাম্বারে জরুরি ভিত্তিতে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।

একথা বলেই ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলেন বলে অপর এক প্রতারকের কাছে মোবাইল ফোনটি দেয়। কথিত ইউএনও বলেন যে, এখনই টাকা পাঠিয়ে আধাঘন্টার মধ্যে মির্জাপুর সোনালী ব্যাংকে এসে আপনার টাকা নিয়ে যান।

সরল বিশ্বাসে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের পথহারা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান মিয়া গতকাল শনিবার সন্ধায় ০১৮৯১৬০১৬৭৮ নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে ৪২ হাজার ৩৩০ টাকা পাঠান। এরপর থেকে ওই মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান। নিরুপায় হয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা আজ রবিবার দুপুরে মির্জাপুর থানায় সাধারণ ডাইরি করেছেন।

এছাড়াও এ উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বরাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মুকুল বিশ্বাস এবং সুবাশ সরকারের কাছ থেকে একই কায়দায় টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ওই প্রতারক চক্র। বিষয়টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস জানতে পেরে ঘটনাটি প্রতারণা বলে তাদের কোথাও টাকা পাঠাতে নিষেধ করেন। যার দরুন ওই দুইজন প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পান বলে তারা জানিয়েছেন।

গতকাল শনিবার সন্ধায় প্রতারকের মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে লাইনটি বিচ্ছিন্ন করে ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোনালী ব্যাংক মির্জাপুর শাখার ব্যবস্থাপক খন্দকার রাইসুল আমিন রবিবার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাসকে ফোন করে এ বিষয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক করে দিতে বলেছেন।

মির্জাাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, প্রতারিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান মিয়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন।