চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে চলছে রমরমিয়ে দেহ ব্যবসা

প্লেসমেন্ট এজেন্সির আড়ালে রমরমিয়ে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ৷ আর তা দিনে দিনে তা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করল বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থা৷

সমাজসেবী হিসাব অনুযায়ী, রাজধানীতে প্রায় তিন হাজার প্লেসমেন্ট সংস্থা আছে৷ বচপন বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য রাকেশ সেঙ্গার মতে, এই প্লেসমেন্ট এজেন্সিগুলি এক এক ধরনের পাচারচক্রের হাব হয়ে উঠেছে৷ জোর করে বিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে দেহব্যবসা সবটাই রমরমিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। এমনকি, মহিলা পাচার চলছে বলেও অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে এই পাচারকারী চক্রের টিকি বাঁধা রয়েছে মূলত ঝাড়খণ্ডের কোলিয়ারি তথা খনি অঞ্চলে৷ সেখান থেকেই দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়ে এই প্লেসমেন্ট সংস্থাগুলি গড়ে তুলছে পাচারকারীরা৷

এর পর দর কষাকষির ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় প্রাপ্তবয়স্ক নারী সহ বহু নাবালিকাকেও পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে এই ব্যবসা৷ ঝাড়খণ্ডের মতো পিছিয়ে পড়া রাজ্যের নারীদেরই প্রাথমিকভাবে এই ব্যবসার পুঁজি হিসাবে ধরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে এই ধরনের প্লেসমেন্ট এজেন্সিগুলি৷

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দিল্লি সহ লাগোয়া ফরিদাবাদ, গুরগাঁও এবং নয়ডায় পয়সাওয়ালা লোকজনের বাড়িতে পরিচারিকার কাজে পাঠানো হচ্ছে নাবালিকাদের৷ ১১ থেকে ১৪ বছরের মেয়েদের বাড়ির কাজে পাঠানো হয়ে থাকে৷ ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা খাটানো হয় তাদের৷ কিছু মেয়েকে আবার পাঠানো হয় হরিয়ানায়৷ বিয়ের নামেও নাবালিকা জোগান দেয় এই সংস্থাগুলিই৷ পাশাপাশি হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে শ্রমিকের কাজে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ঝাড়খণ্ডের মেয়েদের৷   সূত্রঃ কলকাতা ২৪*৭

বাংলাদেশ সময় : ১৯১৮ ঘণ্টা, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ