শেরপুরে নববধূর মরদেহ উদ্ধার

সামিয়া বেগম (১৮) নামে এক নববধূর মরদেহ শেরপুরের শ্রীবরদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৬ জুন মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের বাদেঘোনাপাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সামিয়া বেগম ওই গ্রামের বিপ্লব মিয়ার স্ত্রী। তার স্বামীর বাড়ির লোকজনের দাবি, সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে এলাকায়। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, প্রায় ১১ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিপ্লব তার স্ত্রী সামিয়া বেগমকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এর পর থেকে সামিয়ার সাথে তার শাশুড়ির তুচ্ছ ঘটনায় কথাকাটাকাটি হতো। গত সোমাবার দুপুরে সামিয়ার সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে সে আত্মহত্যা করে।

পরে বাড়ির লোকজন সন্ধ্যায় দরজা ভেঙে ঘরে গিয়ে দেখতে পায় সিলিং ফ্যানের সাথে সে ঝুলে আছে। এ সময় তারা তার মরদেহ মাটিতে নামিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পর গাঢাকা দেয় বিপ্লব মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন।

সামিয়ার বাবা বাবুল মিয়া জানান, তার মেয়ের কিছুদিন যাবৎ মানষিক রোগে ভুগছিল। এ ঘটনার জন্যে তিনি ময়নাতদন্ত না করেই মরদেহ দাফনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করবেন বলে জানান। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান জুবায়েল আহমেদ বলেন, ওই নববধূর বাবা নিজেই বাদী হয়ে থানায় ইউডি মামলা করার জন্য এসেছে।

এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।