\’বাজেট ঘাটতি মেটাতে চাপের মুখে পড়বে ব্যাংক\’

বড় অঙ্কের বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকারকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ নিতে হবে ব্যাংক থেকে। এর ফলে তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা ব্যাংক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা না এলেও চাপে পড়বে ব্যাংকখাত। বাজেট পর্যালোচনায় এমন কথাই জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি।

এছাড়া এবারের বাজেটে স্বচ্ছল ও উচ্চবিত্তদের অনেক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। মধ্যবিত্তের ওপর ভ্যাটের মূল চাপ পড়বে বলে মনে করেন সংস্থাটির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ পর্যালোচনা উপস্থাপন করেছেন সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সিপিডির বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ‘বাজেট অপশাসনের সুবিধাভোগীদের পক্ষে গেছে। অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলোকে বাজেটে তুলে ধরা হয়নি এবং সমাধানের কোনও আভাসও নেই। ব্যাংক খাতের সমস্যা নিয়ে বাজেটে আলোচনা আছে, কিন্তু কর্মপরিকল্পনা নেই। ব্যাংকিং খাতের সমস্যাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।’

দেবপ্রিয় আরও বলেন, বাজেট নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী হয়নি। তথ্য ও উপাত্তের গরমিল রয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক যে চাপ চলছে বাজেটে তার কোনও স্বীকৃতি নেই। বাজেট দেওয়ার সময় যে অভিনব কায়দা ছিল, বাজেটের তথ্য উপাত্তে তা পাওয়া যায়নি।

বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা না বাড়িয়ে বিত্তবানদের সম্পদের সারচার্জ সীমা বাড়ানোকে বৈপরীত্য হিসেবে দেখছে সিপিডি। সংস্থাটি মনে করে অঘোষিত আয় আর অবৈধ আয়ের মধ্যে পার্থক্য করার সময় এসেছে। এছাড়া সরকারি ধান-চাল সংগ্রহে বরাদ্দ আরো বাড়ানো দরকার ছিলো বলেও মনে করে সংস্থাটি।

গত ১০ বছরে শিক্ষা খাতে বাজেট বাস্তবায়ন কমে গেছে। স্বাস্থ্যখাতেও একই অবস্থা। অথচ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেটে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনা দরকার।

লেটেস্টবিডিনিউজ/কেএস