খোলা বাজারে চাল বিক্রি ৭৫ শতাংশ কার্যকর: খাদ্যমন্ত্রী

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারের খোলা বাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম (ওএমএস) ৭৫ শতাংশ কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

সোমবার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আঞ্চলিক (আরসি ফুড) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের (ডিসি ফুড) সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ কায়কোবাদ, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) জন্য ১২০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৯০ মেট্রিকটন চাল বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে সারাদেশে খোলা বাজারে বিক্রির (ওমমএস) জন্য দুই হাজার একশ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্য থেকে প্রতিদিন কমবেশি এক হাজার পাঁচশ মেট্রিকটন চাল বিক্রি হচ্ছ। শতকরা হিসেবে মোট বরাদ্দের ৭৫ শতাংশই বিক্রি হচ্ছে।’

ওএমএম নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওএমএস’র চাল বিক্রি হচ্ছে না বলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি বছর সরকারি গুদামে সাত লাখ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য মজুত ছিল। মার্চের শেষে হাওর অঞ্চলে আগাম বন্যা এবং পরবর্তীতে দেশের ৩২টি জেলার বন্যা হয়। তাই আমরা বোরো ফসল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র অর্জন করতে পরিনি। ফলে আমাদের খাদ্য মজুদ কিছুটা কম হয়েছিল। এ সুযোগ ব্যবহার করে যারা বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে তারা দেশের শত্রু।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি মজুদ বাড়াতে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে। দরপত্রের মাধ্যমেও সরকার চাল আমদানি করছে। আবার সরকার টু সরকার পদ্ধতিতেও সরকার চাল সংগ্রহ করে অভ্যন্তরীণ মজুত বাড়াচ্ছে। এখন সরকারি গুদামে সন্তোষজনক চাল মজুদ রয়েছে। প্রতিদিনই মজুত বাড়ছে। এ ছাড়াও সরকার বিভিন্ন প্রোগ্রামে প্রতিমাসে এক লাখ ২০ থেকে ২৫ হাজার মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দিচ্ছে। ইনশাল্লাহ এখন আর কোনও বরাদ্দের চাল কম (কাট করতে) দিতে হবে না।’

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ০২ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/সাদ