ছয় জেলায় পানিতে ডুবে ১০ শিশুর মৃত্যু

ব‌রিশাল:বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় পুকুরে ডুবে ইমরান (৭) ও আয়েশা (৫) নামে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। তারা দুইজন গুঠিয়া ইউনিয়নের ভাইটশালী গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের সন্তান। দুপুরে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

নওগাঁ: নওগাঁর পোরশায় ডোবার পানিতে ডুবে শিফাত (৩) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে উপজেলার অনন্তপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শিফাত একই গ্রামের শাহা জামালের ছেলে। পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ডোবার পানিতে ডুবে আরিয়া (২) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আরিয়া একই গ্রামের আজিম শেখের মেয়ে।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে রাকিব মিয়া (৩) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার পিতলগঞ্জ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাকিব ওই গ্রামের রাসেল মিয়ার ছেলে।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পেপুলীজোড় গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত দুই শিশু হলো- পেপুলীজোর গ্রামের আবেদ আলীর মেয়ে আরেফিন (১১) ও রশিদুলের মেয়ে রুখসানা (৯)।

মাগুরা: মাগুরা সদর ও শ্রীপুরে পানিতে ডুবে ওয়াজকুরুনি (৫), আকায়ন মোল্যা মনি (২) ও তসলিমা নামে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে ও বিকেলে পৃথক এ তিনটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

ঢাকা: ছয় জেলায় পানিতে ডুবে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে এসব দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

দুপুরে সদর উপজেলার কুকিলা গ্রামের আতর আলীর ছেলে ওয়াজকুরুনি (৫) অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করতে গিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবে মারা যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।

অন্যদিকে, বিকেল ৪টার দিকে সদরের গাংনালিয়া গ্রামের এনামুল মোল্যার ছেলে আকায়ন মোল্যা মনি (২) বাড়ি পাশে ডোবার পানিতে ডুবে মারা যায়। তার মা-বাবা ডোবার পাড়ে বসে পাট বছাইয়ের কাজ করছিল। এসময় হঠাৎ করে আকায়ন চোখের আড়াল হয়। পরে ডোবার পানিতে তার মরদেহ পাওয়া য়ায়।

একই সময় শ্রীপুর উপজেলার মঙ্গলডাঙ্গা গ্রামে সোহাগ মোল্লার দেড় বছর বয়সী মেয়ে তসলিমা বাড়ি টিউবওয়েলে গর্তের পানিতে ডুবে মার যায়। তসলিমাকে বাড়িতে রেখে তার মা-বা গরু, ছাগলের জন্য মাঠে খাবার সংগ্রহ করতে যায়। পরে বাড়ির টিউবওয়েলের গর্তের পানিতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।