বিদেশিদের কর ফাঁকি রোধে ডাটা বেইস হচ্ছেঃ অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন যে, বিদেশি নাগরিকদের কর ফাঁকি রোধে ডাটা বেইস তৈরি করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ির বিশেষ ধরনের নাম্বার প্লেট বিক্রির মাধ্যমেও রাজস্ব সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।

গতকাল সোমবার ২০২০-২১ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ভার্চুয়াল সভায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, রাজস্ব আহরণের গতিকে স্বাভাবিক রাখার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। করের আওতা সম্প্রসারণ, করদাতাদের রিটার্ন দাখিল বৃদ্ধির জন্য চলতি অর্থবছরে রিটার্ন ফরম সহজ করে এক পাতার রিটার্ন ফরম তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় আয়কর অফিস স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি একবারের বেশি কোনো ব্যক্তিকে টিন (করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর) নম্বর দেওয়া হবে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে করদাতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি করহার হ্রাস করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজস্ব জোগান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। ভুয়া টিআইএন ও কর ফাঁকি রোধে বিআরটিএকে ই-টিআইএন যাচাইয়ে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আয়কর বিভাগের ৬৫ শতাংশ রাজস্বই আদায় হয় উৎস কর থেকে। বিদেশি নাগরিকদের কর ফাঁকি রোধে ডাটা বেইস তৈরির কাজ চলছে। ব্যক্তিগত গাড়ির বিশেষ ধরনের নাম্বার প্লেট বিক্রির মাধ্যমেও রাজস্ব সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।