সংবিধানের সুফল বঞ্চিত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে : ড. শিরীন শারমিন

বাংলাদেশের ‘সংবিধান’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গভীর অনুভূতির ফসল বলে জানিয়েছেন, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বসেরা অনন্য সংবিধান। এই সংবিধানের সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে সংবিধানে অনুসৃত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে সংবিধানের সুফল বঞ্চিত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারলেই এই সংবিধান সকলের কাছে অর্থবহ হবে।

বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের ৪৯তম দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং ৭২ এর সংবিধান’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন খন্দকার আব্দুল মান্নান। বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান সিকদার, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রকাশ রায়, সমাজকর্মী সুচরিতা দেব প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট আজহারুল্লাহ ভূইয়া।

স্পিকার আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন সংবিধানের চারটি মৌলিক স্তম্ভের আলোকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন শোষণহীন সমাজ নির্মাণ করতে পারে। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধানের এই মূল ভিত্তিগুলোকে সামনে রেখেই একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১২ অক্টোবর ১৯৭২ গণপরিষদে এবং ৪ নভেম্বর ১৯৭২ সংবিধান প্রণয়নের দিনে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ভাষণ দুটোতে সমগ্র সংবিধান প্রণয়নের কাঠামো ও প্রেক্ষাপটের পরিপূর্ণ প্রতিফলন রয়েছে। পরবর্তী সময়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে এ সংবিধান কার্যকর হয়।