কাঁচা কাজুবাদাম আমদানি শুল্ক ৫ থেকে ৭ শতাংশ: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন যে, প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানের জন্য কাঁচা কাজুবাদাম আমদানি শুল্ক ৫ থেকে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কাঁচা কাজুবাদাম আমদানির ওপর শুল্কহার প্রায় ৯০ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ থেকে ৭ শতাংশে নিয়ে আসতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মত হয়েছে।

ভবিষ্যতে এটিকে পুরোপুরি শুল্কমুক্ত করে দেওয়া হবে। রোববার (৮ নভেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ভার্চ্যুয়ালি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘কোভিড পরবর্তী সময়ে ফুড ভ্যালু চেইন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিকে লাভজনক করতে হলে অপ্রচলিত ফসলের চাষও বাড়াতে হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, কাজুবাদাম, কফিসহ অপ্রচলিত ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। দেশে যাতে কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে সেজন্য কাঁচা কাজুবাদাম আমদানি শুল্কমুক্ত করতে মন্ত্রণালয় উদ্যোগ গ্রহণ করে।

তিনি বলেন, শুধু প্রক্রিয়াজাত নয়, দেশে কাজুবাদাম চাষ জনপ্রিয় করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর কৃষকের মধ্যে কাজুবাদামের ৫০ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া কম্বোডিয়া থেকে প্রায় পাঁচ টন হাইব্রিড কাজুবাদামের বীজ আমদানিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি উদ্যোক্তাকে সহযোগিতা করা হয়েছে। এ বীজের মাধ্যমে প্রায় চার লাখ চারা উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা অনেক ক্ষেত্রে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না। এটি নিশ্চিত করতে হলে কৃষিকে আধুনিকীকরণ করতে হবে। আধুনিকীকরণের একটি দিক হলো মাঠ পর্যায়ে উন্নত জাত, প্রযুক্তি, কৃষি উপকরণের ব্যবহার, অন্যদিক হলো অ্যাগ্রো-প্রসেসিং করা। অ্যাগ্রো-প্রসেসিং করে উৎপাদিত পণ্যে ভ্যালু অ্যাড করতে হবে। সেজন্য, অ্যাগ্রো-প্রসেসিং করে কীভাবে কৃষিকে লাভজনক করা যায় সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুযায়ী অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। যেকোন মূল্যে আমরা কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে, লাভজনক কৃষিতে রূপান্তর করতে চাই।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রযুক্তি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বোরহান উদ্দিন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শামস মাহমুদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মনজুর মোর্শেদ আহমেদ, কার্নেল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ, প্রাণ-আরএফএলের পরিচালক উজমা চৌধুরী, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো-প্রসেসিং অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) মহাসচিব ইকতাদুল হক, ইউনিমার্ট গ্রুপের পরিচালক মালিক তালহা ইসমাইল প্রমুখ।

Scroll to Top