ধান-চালের মজুদ নিয়ে মাঠ প্রশাসনের ভুল তথ্যে সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

ধান-চালের মজুদ নিয়ে মাঠ প্রশাসনের ভুল তথ্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের সংসদীয় কমিটি। কমিটির সদস্যরা বলেন, মাঠ প্রশাসনের তথ্য নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আগে বলা বলা হয়েছিল, ধান-চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কিন্তু তাহলে কেন এখন চালের দাম বাড়ছে। সরকারকে কেন চাল আমদানি করতে হচ্ছে। এর অর্থ আগের তথ্য সঠিক ছিল না। মাঠ থেকে আগে সঠিক তথ্য দিলে সরকার আগাম প্রস্তুতি নিতে পারত। এখন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হত না। কমিটি বিব্রতকর অবস্থা রোধে মাঠ পর্যায় থেকে ভুল তথ্য যেন প্রদান না করা হয়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র ১৪তম বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালেচনা শেষে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী। কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. মামুনুর রশীদ কিরন, আনোয়ারুল আবেদীন খান ও হোসনে আরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

কমিটি সূত্র জানায়, মহামারীর কারণে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকার পরও কেন আলুর দাম বেড়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে চাল ও আলুসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারাদেশের সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় কৃষক পরিবারদের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে ১৬ ধরনের সবজির উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সময় কমিটির সদস্যরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় এ ধরনের কোনো বাগানের তথ্য জানেন না বলে উল্লেখ করেন। কমিটি পারিবারিক পুষ্টি প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করে।

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, কমিটি সীড স্টোর বিষয়ক যাবতীয় তথ্য পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করে। এছাড়া বৈঠকে উৎপাদন সময় কম প্রয়োজন হয়, এমন উন্নত জাত উদ্ভাবন এবং সঠিক সময়ে বোরোর সেচ প্রদানে পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।