বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় স্থাপনা হবে মুজিবনগর কমপ্লেক্স: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় স্থাপনা হবে মুজিবনগরে। মুজিবনগর পর্যটন কেন্দ্রের নতুন নকশার কাজ আগামী বছরের শুরুতেই করা হবে। এছাড়া মুজিবনগরে খুব দ্রুত চেকপোস্টের কাজও শুরু হবে। মুজিবনগরের উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পরিদর্শনে আসবেন একটি উচ্চ প্রতিনিধি দল। মুজিবনগর পর্যটন কেন্দ্রের নতুন নকশার কাজ এবং চেকপোস্ট নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এবং মেহেরপুর-১ আসনের এমপি ফরহাদ হোসেন এসব কথা বলেন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীকে নিয়ে সবশেষ একটি মিটিং করেছি। আশা করছি আগামী অর্থ বছর থেকে মুজিবনগর পর্যটন কেন্দ্রের নতুন নকশার কাজ শুরু করতে পারবো। দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী ১৭ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল সংলাপে বসেছেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুজিবনগর থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে কোলকাতা রাস্তাটিকে স্বাধীনতা সড়ক ঘোষণার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওইদিন যৌথ ঘোষণার পর সড়কটিকে দু’দেশের জনগণের চলাচলের জন্য দু’দেশই এখন প্রস্তুতি নিয়েছে।

আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে বাংলাদেশ। বছরটি বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর পূর্তির বছর। সড়কটির বাংলাদেশ অংশে দৈর্ঘ্য মাত্র দুই কিলোমিটার হলেও ভারতে নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত দৈর্ঘ্য অনেক বেশি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মুজিবনগরে এসে সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখ করেছেন, সড়কটি দুই দেশের জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এতে আমাদের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। স্বাধীনতা সড়ক উন্মুক্ত করা হলে ভারতের পর্যটকরা সহজে ঐতিহাসিক মুজিবনগর পরিদর্শন করতে পারবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরও বলেছেন, স্বাধীনতা সড়কে দু’দেশের মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা হলে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক হিসেবে সড়কটি আবারও মানুষের পদচারণায় মুখরিত হবে।

বৈদ্যনাথতলা এখন ঐতিহাসিক মুজিবনগর। মুজিবনগরকে ঘীরেই মেহেরপুর জেলায় শুরু হয়েছে নানা উন্নয়ন। দীর্ঘ ৫০ বছর পর পূরণ হচ্ছে মেহেরপুরবাসীর দাবী।

এলাকাবাসী জানান, চেকপোস্ট হলে অনেক মানুষের আগমন হবে, আরও মানুষের সমাগম হবে মুজিবনগরে। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। স্বাধীনতা সড়কটি মুজিবনগবাসীর জন্য হয়ে উঠছে বড় গৌরব।

জাতীয় চার নেতাকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী আনসার আজিমদ্দিন শেখ বলেন, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অর্নার করেছিলাম। ৫০ বছর পরেও যে আমার সরকার এটা করছে এতে আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বলেছেন, সড়কটির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের আবেগ জড়িত। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে আমাদের যে বন্ধুত্ব, স্বাধীনতার আবেগ, এটি প্রস্ফূটিত হবে এই সড়কের মধ্য দিয়ে। এটি চালু হলে এখানে ইমিগ্রেশনও থাকবে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্বাধীনতা সড়ক মেহেরপুরবাসীর জন্য একটি উপহার বলেও মনে করছে জেলাবাসি।