বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী হবে যুক্তরাষ্ট্রেওঃ প্রধানমন্ত্রী

দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভারত সরকারের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে এ প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সরকারিদলের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংসদ নেতা বলেন, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ভারত সরকারের উদ্যোগে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এই প্রদর্শনী মূলত একটি বছরব্যাপী আয়োজন।

তিনি জানান, বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও ভারতের কলকাতায় এই ডিজিটাল প্রদর্শনী প্রদর্শিত হবে। দিল্লিতে ইতোমধ্যেই গত ১৭ ডিসেম্বর উদ্বোধনী প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ভারতপক্ষ এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

‘গত ১৭ ডিসেম্বর উদ্বোধনী ভিডিওচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের জাতির পিতা অহিংস আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধীর রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন পর্যায়, রাজনৈতিক দর্শন বাস্তবায়নের বিভিন্ন ঘটনার ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে সুনিপুণভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রদর্শনীর মাধ্যমে দুই মহান নেতার রাজনৈতিক আদর্শ এবং দুই দেশের ইতিহাসে তাদের অবিচ্ছেদ্য প্রভাব উভয় দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই এ প্রদর্শনীর লক্ষ্য। ’

বিরোধীদলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙার প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে কোভিড-১৯-এর কারণে সৃষ্ট বর্তমান সঙ্কট মোকাবিলায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ, বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি), জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা থেকে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, অদ্যাবধি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ, এমডিবি ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা থেকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মোট এক হাজার ৮১৭ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ঋণ সহায়তার পরিমাণ এক হাজার ৬৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও অনুদান সহায়তার পরিমাণ ১৭৭ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

‘প্রাপ্ত প্রতিশ্রুতির মধ্যে এক হাজার ৫২০ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ ছাড় হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আগামীতে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও ফ্রান্সের কাছ থেকে এক হাজার ৯১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও করোনার টিকার অর্থায়নসহ আরও বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। ’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনা ভাইরাসের বিস্তার পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেবে তার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।