নিয়োগ প্রাপ্ত ১১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি

বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতালগুলোর আধুনিকায়ন উন্নয়ন প্রকল্পের নিয়োগ প্রাপ্ত অবশিষ্ট ১১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন ঐ সব কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আজ সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মো. আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অ্যাকাউন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট নীলরতন লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতালগুলোর আধুনিকায়ন উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োগ পেয়ে আমরা ১৮ বছর ধরে কাজ করে আসছি। ১৯৯৭ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প শেষ হয় ২০০৫ সালে। তখন থেকে এই প্রকল্পের থোক বরাদ্দের সামান্য বেতন-ভাতা আমরা পেয়ে আসছি। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পে কর্মরত ৩১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের অনুমোদন দেন। যার ফলে ২০১৭ সালে সেখান থেকে ১৯১ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়। বাকি ১২৩ জনকে বলা হয় তাদের পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে ১২৩ জন থেকে কয়েকজন মারা যান এবং চাকরি ছেড়ে চলে যান। অবশিষ্ট ১১০ জন নিজ নিজ পদে এখনও কর্মরত আছেন। কিন্তু তাদের এখন পর্যন্ত রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা জানি এই সব পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। সুদীর্ঘ ১৮ বছর ধরে একই পদে কর্মরত থাকায় কাজের বিষয়ে আমরা বেশ দক্ষতা অর্জন করেছি। আবার অন্যদিকে আমাদের চাকরিতে যোগদানের নির্ধারিত বয়সসীমা অতিক্রম করেছে। যার ফলে আমরা অন্যকোন কাজও নতুন করে করতে পারবো না। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা এখন হতাশ। যদি আমাদের বাদ দিয়ে নতুনদের আনা হয়, তবে এই ১১০টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে। প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তত মানবিকতার বিবেচনায় আমাদের এই ১১০ জনকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সিকিউরিটি গার্ড মো. আব্দুল খালেক হাওলাদার, সিলেট বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট মোছা. শাহানা আক্তার, বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের মালি মো. নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতালের বাবুর্চি মো. আক্তার হোসেন, রাজশাহী বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে সিকিউরিটি গার্ড মো. আব্দুল হালিম মিয়া প্রমুখ।