বনানীতে শেখ রাসেলের কবরের পাশে আবেগাপ্লুত শেখ হাসিনা-রেহানা

আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবছরও রাসেলের জন্মদিনে ভাইয়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ভালোবাসা জানাতে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে ছোট ভাইকে শ্রদ্ধা জানাতে দুই বোন ছুটে যান ভাইয়ের বনানীর কবরে।

প্রয়াত ছোট ভাইয়ের কবরে প্রধানমন্ত্রী ও তার বোন শেখ রেহানা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে গোলাপের পাপড়ি ছিটান। এসময় আবেগাপ্লুত দুই বোন কিছুক্ষণ নীরবে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।

পরে রাসেলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন সরকারপ্রধান ও তার বোন শেখ রেহানা।

১৯৬৪ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘাতকেরা নিষ্ঠুরভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। এই দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’।

১১ বছরের শিশু রাসেল প্রতিদিনের মতো সেদিনও ঘুমিয়ে ছিল। আকস্মিক গুলির শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। বেগম মুজিব আদরের দুলাল রাসেলকে রক্ষার জন্য কাজের লোকসহ পেছনের দরজা দিয়ে চলে যেতে বলেন। গেট দিয়ে বাইরে যাওয়ার সময় ঘাতকেরা তাকে আটক করে। এ সময় বাড়ির ভেতরে মুহুর্মুহু বুলেটের শব্দ আর আর্তচিত্কার শুনে অবুঝ শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঘাতকদের বলেছিল, ‘আমি মায়ের কাছে যাব।’ কিন্তু মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাসেলকেও গুলি করে হত্যা করে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম এই ঘাতকেরা।