বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকে যে আলোচনা হলো

ভারতের দিল্লির ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ–ভারত এ বছরের দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হল।

আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছে। এতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের বৃহত্তর সমৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা আরও গভীর করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তিস্তা চুক্তি ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সম্পাদন, বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্য থেকে বাণিজ্য বাধা অপসারণ এবং দু\’দেশের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বাংলাদেশকে বিশ্বস্ত প্রতিবেশী হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং দু\’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শে এ ধরনের বৈঠকে সাধারণত পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব প্রধান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়। আর তাতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক থাকা খাতগুলোর সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়। বৈঠকের শুরুতেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রাকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে দুজনেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, আঞ্চলিক সংযোগ, আঞ্চলিক বিদ্যুৎ খাত, নিরাপত্তা ও পানি সংক্রান্ত সমস্যা, কনস্যুলার ও সাংস্কৃতিক বিষয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের ওপর জোর দেন দুই পররাষ্ট্রসচিব। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা নিয়েও আলোচনা হয়। তাঁরা বলেন, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতা অব্যাহত রাখা উচিত। বৈঠকে তিস্তাসহ পানিবণ্টনের বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ ছাড়া ভিসা প্রসেসিং আরও সহজ করতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবকে অনুরোধ করেন তিনি। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব।

Scroll to Top