নির্বাচনে অপশক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৫৪ বিশিষ্টজনের উদ্বেগ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র, নাশকতা ও গোপন তৎপরতার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিকসহ ১৫৪ বিশিষ্টজন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলাজলে মাছ শিকারের জন্য দেশি-বিদেশি মহলের অপতৎপরতায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অতীতের ন্যায় নির্বাচন বানচালের সব ধরনের অপচেষ্টা মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য তারা অনুরোধ জানান।

তারা উল্লেখ করেন, পরিতাপের বিষয় হলো, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমাদেরকে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। এই অপশক্তির হাতে আমরা রাষ্ট্রের স্থপতিকে হারিয়েছি। পাকিস্তানের পরাজিত এই শক্তি সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের মৌলচেতনাকে পদদলিত করে অবৈধ পথে ক্ষমতায় এসেছে এবং এখনও আসতে চাইছে। গণতন্ত্রের আবরণ অঙ্গে ধারণের চেষ্টা করলেও তারা তাদের আসল চেহারা ঢেকে রাখতে পারেনি।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যেভাবে তারা অগ্নিসন্ত্রাস আর ধ্বংযজ্ঞে লিপ্ত ছিল, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকে একইভাবে তারা হরতাল-অবরোধের নামে সাধারণ মানুষের জানমাল, গণপরিবহণ, ট্রেন ইত্যাদির ওপর চোরাগোপ্তা হামলা, ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। রেললাইন উপড়ে ফেলে, অগ্নিসংযোগ করে দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করে তারা দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করতে চায়।

বিবৃতিতে তারা বলেন, যারা নাশকতা করছে, তারা চিহ্নিত অপশক্তি। চিহ্নিত এই দানবদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শান্তি নিশ্চিত করা হোক। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তার পরিচয় দেবেন সে প্রত্যাশা করি। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং উন্নয়নবিরোধী যে ষড়যন্ত্র চলছে তা সফল হলে বাংলাদেশ ইরাক, সিরিয়া, লিরিয়া কিংবা আফগানিস্তানের পরিণতি ভোগ করবে।

Scroll to Top