vaccine

গোপালগঞ্জে দেশের একমাত্র ভ্যাকসিন কারখানা: রপ্তানিও হবে বিদেশে

গোপালগঞ্জে দেশের একমাত্র ভ্যাকসিন তৈরির কারখানা স্থাপনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। নিজস্ব টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জনে তিন হাজার ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভ্যাকসিন প্লান্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কারখানায় ১৫ ধরনের টিকা উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে দীর্ঘ এক যুগেও শেষ হয়নি ‘গোপালগঞ্জ এসেনশিয়াল ড্রাগস কম্কানি লিমিটেডের তৃতীয় শাখা কারখানা স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়নকাজ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্কর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

 

গত মাসে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রতিবেদনটি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনাকালে কমিটির সদস্যরা পাঁচ দফা মেয়াদ বৃদ্ধির পরও তিন বছরের প্রকল্পটির কাজ ১২ বছরেও শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওষুধ কারখানা নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করতে কমিটির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সংসদীয় কমিটি সূত্র জানায়, দেশের সর্বজনীন টিকা কার্যক্রম (ইপিআই) শক্তিশালী করতে গোপালগঞ্জে এসেনশিয়াল বায়োটেক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার নামের ভ্যাকসিন প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কম্কানি লিমিটেড। সরকার ও এডিবির অর্থায়নে এই প্রকল্পের মধ্যে সরকার ৪২০ কোটি টাকা অর্থায়ন করছে এবং এডিবি ঋণ দিচ্ছে দুই হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে গবেষণার নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবনার তথ্য মতে, রিসার্চ সেন্টারে তিনটি মূল ইউনিট স্থাপন করা হবে।

এর মধ্যে আছে ভ্যাকসিন, থেরাপিউটিকস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকসের পূর্ণাঙ্গ সুবিধাসংবলিত একটি ইউনিট, একটি ভ্যাকসিন উৎপাদন ইউনিট এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও ডেভেলপমেন্ট ইউনিট। গোপালগঞ্জ সদরে প্রায় ৯ একর জায়গায় এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।প্লান্টের নির্মাণকাজ শেষ হলে ২০২৮ সাল নাগাদ ছয়টি টিকা উৎপাদন করা যাবে, যার মধ্যে রয়েছে—এইচপিভি, টিসিভি, এমসিভি, ফ্লু ভ্যাকসিন, অ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন এবং জাপানিজ এনকেফালাইটিস। আর ২০২৯ সালে টিকার কাঁচামাল উৎপাদন করে টিকার সম্কূর্ণ নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারিং হবে। এ পর্যায়ে আইপিভি, পেন্টা, টিটি, পিসিভি-১০ এবং কভিড ও ডেঙ্গুর টিকা উৎপাদন করা হবে।
Scroll to Top