আমি কামলা হিসেবে কাজ করতে চাই: মেয়র আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম মাঠ পরিদর্শনে এসে আতিকুল ইসলাম আতিক বলেছেন, ‘আমি কামলা হিসেবে কাজ করতে চাই। প্রয়োজনে ড্রেনে নেমে পানি পরিষ্কার করতে রাজি আছি। এই ঢাকা সবার ঢাকা। আমরা সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করে বর্ষা আসার আগেই যেন জলাবদ্ধতা মুক্ত ঢাকা উপহার দিতে পারি। তবে এই সমস্যাটা একদিনের না তাই দিনে দিনে ঠিকও হবে না। আমরা চেষ্টা করছি, যতদ্রুত পারি সমস্যা সমাধান করে স্বস্তিদায়ক ঢাকা উপহার দেব।’

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে ডিএনসিসি এলাকার কয়েকটি স্পট পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন মেয়র আতিক।

আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই কিভাবে জলাবদ্ধতা নিরসন করে নগরবাসীর স্বস্তিদায়ক ঢাকা উপহার দিতে পারেন সেসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় বাসিন্দা তথা সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আলাপ করে জনমত সৃষ্টির উপর জোর দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

প্রথম পর্যায়ের মাঠ পরিদর্শনে উত্তরা শায়েস্তা খান এভিনিউ, আশকোনা সড়ক, বনানীর মেট্রোরেল প্রকল্পের পাশের খাল এবং বাড্ডার সুতি খাল পরিদর্শন করেন।

বনানী এলাকায় পরিদর্শনের পূর্বে মেয়র বলেন, ‘আমি সব জায়গা দেখেছি, অবিশ্বাস্য অমানবিক সব কাজ। উত্তরায় যথেষ্ট বড় খাল রয়েছে সেই খালের উপর দোকান, কাঠের মিল, মসজিদ, মার্কেট, বাড়িঘর হয়ে গেছে। আমি এলাকাবাসীকে জনমত সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছি। প্রথম ভালবাসা দিয়ে বলেছি এরপর কাজ না হলে সিটি করপোরেশনের ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

তিনি নগরবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির পাশাপাশি আমি সময় বেঁধে দেব। আমি প্রথম ভিজিটে বলে এসেছি ২/৩ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করতে এরপর না সরলে ব্যবস্থা। এর বিকল্প নাই। এসময় বনানী এলাকার জলাবদ্ধতা নিয়ে ডিএনসিসি’র কর্মকর্তা এবং মেট্রোরেল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে কথার যুদ্ধ চলে।

মেট্রোরেল প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলেন, ‘গুলশান লেকের বাঁধের কারণে বনানীতে জলাবদ্ধতা হয়। কিন্তু তা মানতে নারাজ ডিএনসিসি’র কর্মকর্তারা। তাদের দাবি মেট্রোরেল কাজ শুরু আগে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়নি। এসময় মেট্রোরেল প্রকল্পের এক কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, মেট্রোরেল প্রকল্প চালুর আগে গুলশান লেকে বাঁধ দেওয়া হয়নি। তাই দেখা যায়নি।’

এরপর মেয়র বলেন, ‘আমরা এখানে কথা না বলে সমন্বিতভাবে কী করে কাজ করা যায় সেটা দেখব। দ্রুত এখানকার বিদ্যমান খালটি ৩০ ফিট প্রস্থ করার নির্দেশ দেন মেয়র। যে খালটি বর্তমানে ভরাট হয়ে ১০ ফিটেরও কম সরু চ্যানেলের মতো হয়ে গেছে।’