হয়তো মরেই যেতাম, তবে আল্লাহর রহমতে ফিরে এসেছি: কাদের

\’হয়তো মরেই যেতাম তবে আল্লাহর রহমত ও সবার অশেষ দোয়ায় ফিরে এসেছি। আমার অনুপস্থিতি মন্ত্রণালয়ের কেউ বুঝতে দেয়নি। কাজ ঠিকঠাকই হয়েছে।\’ আজ রবিবার দীর্ঘদিন পর নিজ দপ্তরে যান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

দপ্তরে এসেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, \’এখন মানসিকভাবে আমি প্রস্তুত। শারীরিকভাবেও সুস্থ। তবে ১৬ই জুলাই চেকআপে যাব সিঙ্গাপুরে।\’

তিনি বলেন, \’আগের মতো হয়তো দৌঁড়াতে পারব না। শরীরের কথা ভাবতে হবে। তবে আমাদের টিমওয়ার্ক ভালো। তাই ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবতে হবে না। তবে সড়কগুলোতে সংকট আছে বলে দুর্ভোগের শঙ্কা আছে।\’
\"\"

তিনি আরও বলেন, \’আগামি ২৫শে মে মেঘনা-গোমতী দ্বিতীয় সেতু খুলে গেলে ঐ রুটে ভোগান্তি কমবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কাজ চলছে। ঈদের আগে ৪টা আন্ডারপাসের কাজ শেষ হবে। সেখানেও ভোগান্তি কমবে।\’ বিআরটিসি বাস যুক্ত হতে যাচ্ছে ঈদ যাত্রায়, এজন্য বাস সংকট কমবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে গত বুধবার দুই মাস ১১ দিন পর দেশে ফেরেন ওবায়দুল কাদের। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিজি-০৮৫ ফ্লাইটে দেশে পৌঁছান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী।

বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ই এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি আরও কিছুদিন সিঙ্গাপুর অবস্থান করেন। এ সময় তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া বাসায় ছিলেন।

গেল ২০শে মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। ৩রা মার্চ সকালে বুকের ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের।

পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ঠা মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। ওই রাতেই মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ডা. ফিলিপ কোহ’র নেতৃত্বে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।