অবশেষে কারামুক্ত হলেন খালেদা জিয়া

দুই বছর এক মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে মুক্তি পেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বুধবার বিকাল ৪টার পর কারা হেফাজতে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান তিনি। বয়স ও মানবিক বিবেচনায় নিয়ে খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। তার সঙ্গে মুক্তি পান গৃহকর্মী ফাতেমাও

সেখান থেকে সরাসরি গুলশানে নিজ বাসভবন ফিরোজায় উঠবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

খালেদা জিয়াকে ঢাকা মেট্রো-ভ ১১-০৬৯২ নিশান প্রোটোল গাড়িতে নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পরিবার সদস্যরা বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবনে রওনা দিয়েছেন। সঙ্গে চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাঁচটি গাড়ি ও মাইক্রোবাসও রয়েছে।

এর আগে তার সাজা স্থগিতের আবেদনের ফাইলে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে মুক্তির আদেশের নথি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা কর্তৃপক্ষের হাত ঘুরে বুধবার বিকালে ৩টার পর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পৌঁছায়।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানবিক কারণে দুই শর্তে বেগম জিয়ার দণ্ডাদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এসময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎ করেই ডাকা সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়াকে মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গত বছর ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মোট মামলার সংখ্যা ৩৬টি রয়েছে। পরে সরকার গত মঙ্গলবার শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের সাজা মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।