মেয়র জাহাঙ্গীরের পর দলীয় ক্ষমা পেলেন ডা. মুরাদ হাসান

অডিও কেলেঙ্কারিতে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানকে ‘সাধারণ ক্ষমা’ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সেই শাস্তি প্রত্যাহার করে দলের পক্ষ থেকে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের অনেককেই ক্ষমা করা হয়েছে, আপনি ক্ষমা চেয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মুরাদ হাসান বলেন, আমি আবেদন করেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু এখনো চিঠি আনতে যাইনি। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আরও গুরুতর কথা বলেছিলেন, তাই তিনি চিঠিটা দ্রুত নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা জামালপুর-৪ আসনের সাংসদ ডা. মো. মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। ডা. মো. মুরাদ হাসান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

Scroll to Top