বিএনপি ৮২ সাংগঠনিক জেলা ৭২টির কার্যালয় বন্ধ

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের দিনে সংঘর্ষের পর থেকেই তালাবদ্ধ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। সেই সঙ্গে দলটির জেলা কার্যালয়গুলোর বেশিরভাগও তালাবদ্ধ। কবে কার্যালয়গুলো খোলা যাবে, কবে নেতা-কর্মীরা সমাগম শুরু করবেন, তা কেউ জানেন না।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫৬ জেলায় বিএনপির কার্যালয় বন্ধ। চারটি জেলায় দলের কার্যালয় নেই। এছাড়া চার জেলা- ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরে কার্যালয় খোলা আছে। এছাড়া ৮২টি সাংগঠনিক জেলার ৭২টির কার্যালয়ই বন্ধ।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, কার্যালয় ঘিরে পুলিশের পাহারা, টহল থাকে। এছাড়া আছে গোয়েন্দাদের তৎপরতা। সেখানে গেলেই গ্রেপ্তারের ভয় আছে। বেশিরভাগ নেতা-কর্মী আত্মগোপনে। ফলে কার্যালয় খোলা হয় না।

গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে কার্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে, যেদিন ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশের অভিযানে পণ্ড হয়ে যায়। সেদিন পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের এক সদস্য ও একজন বিএনপি সমর্থক নিহত হন। এরপর পুলিশ সারা দেশে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। বিভিন্ন মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে নেতা-কর্মীদের।

মূলত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ২৮ অক্টোবরের ওই মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, ওইদিনের পর থেকে সারা দেশে গত এক মাসে ৯ হাজার ৭০০ জনের বেশি বিএনপির নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির হিসাবে, গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সক্রিয় বেশিরভাগ নেতারা কারাগারে। বাকিরা আত্মগোপনে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর দুপুরেে পর মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর ওইদিন রাতেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা দেখা যায়। পুলিশ ২৯ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কড়া পাহারা বসায়। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট কার্যালয়টির সামনে ‘ডু-নট ক্রস-ক্রাইম সিন’ লেখা হলুদ ফিতা দিয়ে ঘিরে রাখে। দুইদিন পর দুই পাশে বসানো হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড। ১৪ নভেম্বর ব্যারিকেড সরানো হয়।

Scroll to Top