কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা মজনু

দীর্ঘ সাড়ে নয়মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি সরাসরি নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনস্থ মহানগর কার্যালয়ে আসেন।

এসময় মহানগর বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীসহ মজনুকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।এসময় তাৎক্ষণিক সংবর্ধনার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়। তারা একতরফা ডামি নির্বাচনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে কবজা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। একপাক্ষিক নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে।

তিনি বলেন, তারা নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সবসময় গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। তাই গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যতদিন দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে ততদিন ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। চূড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে। ইনশাআল্লাহ্ এই সংগ্রামে জনগণ জয়ী হবে।

তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেই আওয়ামী লীগ বেপরোয়া আচরণ শুরু করেছে। সরকারি দলের সিন্ডিকেটকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। দখলদার সরকারের নীতিই হচ্ছে গরিব মানুষের পকেট কাটা। ডামি সরকার জনগণের বাঁচা-মরাকে পাত্তা দেয় না। গরিব মানুষের রক্ত চুষে নিতেই এরা তৎপর।

সদ্য কারামুক্ত মজনু বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে একদফার আন্দোলন চলছে, চলবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দখলদার আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করে একদফার আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হবে। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জ্যেষ্ঠ সদস্য ইশরাক হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে আর ২০২৪ সালে প্রহসনের ডামি নির্বাচন করেছে। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ এই ভোট বর্জন করেছে। এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ মানে না।

এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, মনির চেয়ারম্যান, সিকান্দার কাদির, দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু, সদস্য সাব্বির আহমেদ আরেফ, মকবুল হোসেন টিপু, অ্যাড. ফারুক, জামসেদুল আলম শ্যামল, প্রচার সেলের সদস্য মাহফুজ কবির মুক্তাসহ মহানগর বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।